শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

এনজিও বাতিলের শঙ্কা , দুই হাজার

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » এনজিও বাতিলের শঙ্কা , দুই হাজার
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪



10886.jpgতমালবঙ্গ- নিউজ ডেস্কঃএনজিও ব্যুরো ও তথ্য কমিশনের নির্দেশনা সত্ত্বেও নিজ নিজ সংস্থায় তথ্য কর্মকর্তা (আরটিআই) নিয়োগ ও আপিল কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ না করায় দেশে দুই হাজার ১৭০টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। সরকারি নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ এসব এনজিওর বিরুদ্ধে যেকোনো দিন এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এনজিও ব্যুরোর একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।সূত্রমতে, কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধকল্পে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের প্রতিটি এনজিওতে তথ্য কর্মকর্তাসহ আপিল কর্তৃপক্ষ নিয়োগে এনজিও ব্যুরোকে চিঠি দেয় তথ্য কমিশন। কমিশনের চিঠির আলোকে বিষয়টিকে জরুরি বিবেচনায় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে এনজিও ব্যুরো। সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, ওই চিঠিতে কমিশনের সচিব মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষর করেন। চিঠিতে বলা হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং দুর্নীতি হ্রাস করে সুশাসন নিশ্চিত করাই এই আইনের লক্ষ্য। তথ্য অধিকার আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী এই আইনে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিটি এনজিও কর্তৃপক্ষ তথ্য আদান-প্রদান ইউনিটের জন্য একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করবে। পাশাপাশি এনজিওতে আপিল কর্তৃপক্ষও নিয়োগ দিতে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

এদিকে কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই ২০১৩ সালের গত ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর উপপরিচালক (সাধারণ) এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন চিঠি দিয়ে নিবন্ধিত দুই হাজার ২৯৪টি এনজিওকে নিজ নিজ সংস্থায় তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও আপিল কর্তৃপক্ষ নির্ধারণের নির্দেশ দেন। চিঠি প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে নির্দেশটি প্রতিপালন করে ব্যুরোকে অবহিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর উপপরিচালক (সাধারণ) এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, তথ্য কমিশনের মতো এনজিও ব্যুরোও চায় প্রতিটি এনজিওতে তথ্য কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ হোক। এখন পর্যন্ত ব্যুরোতে নিবন্ধিত দুই হাজার ২৯৪টি এনজিওর মধ্যে ১২৪টিতে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে দুই হাজার ১৭০টি এনজিও এখনো সেটি করেনি।

তিনি আরো জানান, ব্যুরোতে নিবন্ধিত পাঁচ শতাধিক এনজিও সক্রিয় রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০০টি স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে অনেকেই নিবন্ধন টিকিয়ে রাখলেও সক্রিয় নেই। মোয়াজ্জেম হোসেন আরো বলেন, এনজিওদের এ বিষয়ে সচেতন করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে গত মাসেও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর পরও যদি এনজিওগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) নিয়োগ ও আপিল কর্তৃপক্ষ (আরটিআই) নির্ধারণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা স্থগিত করা হতে পারে। সরকারি কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৯:৪১   ৪০৫ বার পঠিত