বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

ছাত্রীকে গালি-লাথি, শিক্ষিকার কক্ষে তালা

Home Page » এক্সক্লুসিভ » ছাত্রীকে গালি-লাথি, শিক্ষিকার কক্ষে তালা
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪



dhaka_university_logosvg.pngবঙ্গ-নিউজঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে ‘অবমাননাকর’ গালি ও লাথি মারার অভিযোগে ওই বিভাগের এক শিক্ষিকাকে প্রায় আধঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রীর সহপাঠীরা শিক্ষিকার কক্ষে (কলা ভবন ৩০৩৪) তালা দেন। পরে অফিস সহকারীর সহযোগিতায় কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হলে ওই শিক্ষিকা বের হয়ে চলে যান।

এর আগে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ এনে বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রী।

অভিযোগে বলা হয়, গত মঙ্গলবার মাস্টার্সের প্রজেক্টের কাজে তত্ত্বাবধায়ক জামিউন নাহারের সঙ্গে তাঁর কক্ষে দেখা করতে যান ওই ছাত্রী। একই কক্ষে বসেন ওই বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা আয়েষা মাহমুদা। কিছুক্ষণ পর অধ্যাপক আয়েষা কক্ষে প্রবেশ করেন এবং ছাত্রীকে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন। কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রীকে লাথি মারেন এবং ‘অবমাননাকর’ গালি দেন।

অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘এর আগেও বিভিন্ন সময় তাঁর কক্ষে গেলে বিভিন্ন তীর্যক মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রীর প্রজেক্টের তত্ত্বাবধায়ক প্রভাষক জামিউন নাহার বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে প্রজেক্টের বিষযে কথা বলতে এসেছিল। আয়েষা ম্যাডাম কক্ষে প্রবেশ করার সময় সে চেয়ার থেকে উঠে অন্য পাশে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ পর ম্যাডাম কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় তাকে ‘অবমাননাকর’ বলে গালি দেন, সেটা আমি শুনেছি।’

বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মো. সোহেল রানা বলেন, ‘এই ঘটনা শিক্ষার্থী প্রথমে আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক পারভীন হক বলেন, ‘শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা আমাদের একাডেমিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

তবে বক্তব্য জানার জন্য আয়েষা মাহমুদার মোবাইল ফোন নম্বর পাওয়া যায়নি। তাঁর ল্যান্ডফোনে ফোন করলে কেউ ফোন উঠাননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৯:৩৫   ৩২৫ বার পঠিত