সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

দুই বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » দুই বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪



2nd-submarine.jpgরাসেদুল হাসান লিটন(বঙ্গ-নিউজ)ঃদুই বছরের মধ্যেই এক হাজার ৪০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথসহ দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দীক বলেন, “পটুয়াখালীতে ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। ২০১৬ সালের শুরুতেই দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।”

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হলে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৪০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ পাবে বলে জানান সচিব।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বঙ্গ-নিউজ ডটকমকে বলেন, “বর্তমানে ২০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথসহ সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত আছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে প্রায় ৪০ গিগাবাইট ব্যবহৃত হচ্ছে।”

২০১৪ সালের শেষের দিকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও কিছু জটিলতায় তা পিছিয়ে যায় জানিয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, “১৭ দেশের কনসোর্টিয়ামের কিছু দেশ অন্য একটি সাবমেরিন কেবলে (এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপ-১ বা এএই-১) যাওয়া নিয়ে দ্বিধাদণ্ডে থাকাতে এ সময় নষ্ট হয়েছে।”

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপন ও রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চলতি বছরের মার্চে মালয়েশিয়ার চুক্তি হবে বলেও জানান মনোয়ার হোসেন।

এদিকে, রোববার বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-ইউ-৪’-এর অব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪ ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবল (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সংযুক্ত রয়েছে।

টেলিযোগাযোগ সচিব জানান, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনে মোট খরচ হবে সাত কোটি ডলার, এর মধ্যে চার কোটি মার্কিন ডলার আইডিবি’র ঋণ দেয়ার কথা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনে সরকার কোন অর্থায়ন করছে না। এজন্য বাকি তিন কোটি মার্কিন ডলার সাবমেরিন কেবল কোম্পানিকে যোগাড় করতে হচ্ছে।

সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪ এর অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে যে টাকা আসবে তা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনে সরবরাহ করা হবে।

২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।

একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ সাবমেরিন ক্যাবলে দক্ষিণ-এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের ১৭ দেশ সংযুক্ত হচ্ছে।

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে কনসোর্টিয়ামের সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:৫৫   ৪১৮ বার পঠিত