(খোকন)-বঙ্গ-নিউজ ডটকম: তৃণমূল নেতাকর্মীদের আগ্রহকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
স্থানীয় সরকারের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এখন দেশের প্রতিটি এলাকাই সরগরম। এ নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট হচ্ছে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা ভোটের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও সমর্থক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে এ নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে প্রচারণাও। বৃহস্পতিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়।
দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ না থাকলেও তৃণমূল নেতাদের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে এ নির্বাচনে সমর্থক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্ট্রার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
তিনি বলেন, নেতারা স্থানীয়ভাবে যাচ্ছে এতে আমরা হস্তক্ষেপ করছি না। এটা আসলে স্থানীয় নেতাদের ভাগ্য নির্ধারণের ব্যাপার।
এ ব্যাপারে বিএনপি‘র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনতো দলীয় সরকারের অধীনেই হয়। বিএনপি‘র আমলের নির্বাচনে আওয়ামী লীগও জিতেছে বিএনপিও জিতেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন দুটোতো এক নয়।‘
এছাড়া, সাংগঠনিকভাবে দলকে আরো শক্তিশালী করাও একটা উদ্দেশ্য বললেন দলের এ নেতা। তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে যদি একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হয় সেক্ষেত্রে এটি একটি ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করবে। মানুষ সাধারণত বুঝতে পারবে যে দলটি যাকে সমর্থন করেছে সেটা ঠিক আছে।‘
একতরফা নির্বাচনের পরও গেলো ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করে স্থানীয় এ নির্বাচনেও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়েও শঙ্কিত বিএনপি নেতারা। পাচ দফায় অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফা এবং ১৫ মার্চ তৃতীয় দফা ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৮:২৩   ৪৮৬ বার পঠিত