শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে তাগিদ খালেদার
Home Page » জাতীয় » উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে তাগিদ খালেদাররাসেদুল হাসান লিটন(বঙ্গ-নিউজ)ঃআসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোটের একক প্রার্থী দিয়ে তাদের জিতিয়ে আনতে সর্বশক্তি নিয়ে নামতে দলীয় নেতাদের বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় তিনি একথা বলেন বলে বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বঙ্গ-নিউজ ডটকমকে বলেন, “দল ও জোটের সমর্থিত সমমনা প্রার্থীদের থেকে একক প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য চেয়ারপারসন তাগিদ দিয়েছেন।
“এব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সক্রিয় হতে বলেছেন। যেখানে একাধিক প্রার্থী আছে, বিদ্রোহী প্রার্থী আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে।”
স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নেই। তবে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা দল থেকে প্রার্থী ঠিক করে আসছে।
বিএনপিবিহীন নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়া আওয়ামী লীগও উপজেলা নির্বাচন গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সম্প্রতি এক সভায় উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী ঠিক করার জন্য দলীয় নেতাদের জোর তাগিদ দেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, যাকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এবার ছয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। ৪৮৭ উপজেলার মধ্যে প্রথম দফায় ৯৮ উপজেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় দফায় ১১৭ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয় দফায় ৮৩ উপজেলায় ১৫ মার্চ ভোটের দিন ইতোমধ্যে ঘোষণা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গত স্থানীয় সরকারের অধিকাংশ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বৈঠকে সেই ধারাবাহিকতা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন বলে জানান ওই নেতা।
গুলশানের কার্যালয়ে রাতে দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আর এ গনি, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রফিকুল ইসলাম মিয়া।
দল গুছিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ার পর দলের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে এই বৈঠকে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করার তাগিদও দেন খালেদা।
বৈঠকে অংশ নেয়া ওই নেতা বলেন, “চেয়ারপারসন সংগঠন শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন। সংগঠন শক্তিশালী করার কর্মকৌশল নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
বৈঠকে সরকারের দমন নীতি বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে ‘হত্যা’ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত বছরের ৭ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল। তারপর দলের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে মওদুদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম সম্প্রতি মুক্তি পান।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত শেখ হাসিনার সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১:১১:৫৭ ৪৩৯ বার পঠিত