বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

চট্টগ্রাম টেস্টে ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ।

Home Page » ক্রিকেট » চট্টগ্রাম টেস্টে ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৪



112_imrul_100_run_1.jpgবঙ্গ-নিউজ: ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমানের প্রথম শতকে চট্টগ্রাম টেস্টে ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪০৯/৮। স্বাগতিকরা এখনো ১৭৮ রানে পিছিয়ে, হাতে আছে ২ উইকেট।

বৃহস্পতিবার ১ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। সকালে সতর্ক ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে স্বাগতিকদের প্রথম শতরানের জুটি গড়েন শামসুর-ইমরুল।

তাদের দৃঢ়তাভরা ব্যাটিংয়ে দিনের প্রথম সেশনটা চমৎকার কাটে বাংলাদেশের। শামসুর ৯৩ ও ইমরুল ৯১ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যান। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১৫ রান যোগ করে স্বাগতিকরা।

মধ্যাহ্ন-বিরতি থেকে ফিরে শতক তুলে নেন শামসুর। ১ উইকেটে ২৩২ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে ঠিক এই রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস।

শতকে পৌঁছানোর পরপরই বাজে শট খেলে বিদায় নেন শামসুর (১০৬)। দ্বিতীয় টেস্টেই শতক পাওয়া শামসুরের ১৯১ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছক্কা।

শামসুর-ইমরুলের ২৩২ রান দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ২০০ রান, তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকের।

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর ২৫০ পেরুনোর পর আবার আঘাত। এবার সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুমিনুল হক (১৩)।

উইকেট বিলিয়ে এসেছেন ইমরুলও। ভাগ্যের জোরে শতক পাওয়ার পর তেড়েফুড়ে অজন্তা মেন্ডিসকে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১ উইকেটে ২৩২ থেকে বাংলাদেশের স্কোর তখন ২৫৯/৪।

বল না বুঝে উড়িয়ে মারতে গিয়ে চোটও পেয়েছেন ইমরুল। ‘আত্মঘাতী’ শট খেলা ইমরুলকে ক্রিজ ছাড়তে হয়েছে সতীর্থদের কাঁধে ভর দিয়ে। মাঠের বাইরে গিয়ে উঠতে হয়েছে স্ট্রেচারে।

বাঁহাতের কনিষ্ঠায় চোট পাওয়ায় বুধবার ফিল্ডিংয়ে নামেননি মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে নেমে ষষ্ঠ উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬০ রানের একটি জুটি গড়েন তিনি।

বাংলাদেশের অধিনায়কের ২০ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে শর্ট লেগে কৌশল সিলভার চমৎকার ক্যাচে। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি সাকিবও।

প্রথম টেস্টের মতো এবারো অর্ধশতকে পৌঁছেই সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব। ৩৬ রানে স্লিপে কুমার সাঙ্গাকারার হাতে জীবন পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ৫০ রান করে দিলরুয়ান পেরেরার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।

বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সোজা ব্যাটে খেলার জন্য সতীর্থদের আহ্বান জানিয়েছিলেন নাসির হোসেন। ব্যাটসম্যানদের সোজা ব্যাটে এবং কম শট খেলতে বলেছিলেন তিনি।

মাঠে নেমে নিজেই ভুলে গেলেন সে কথা। পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ইনিংস শুরু করেন তিনি। তার প্রথম ২৭ রানে ছিল ৬টি চার।

একসময় ৬ উইকেটে ৩৯৬ রানের স্বস্তিকর একটি জায়গায় ছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু দিনের চতুর্থ শেষ ওভারে অজন্তা মেন্ডিসের জোড়া ধাক্কায় ‘ব্যাকফুটে’ চলে গেছে স্বাগতিকরা। দিনের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দর্শকদের হতাশায় ডুবিয়ে সাজঘরে ফিরে যান নাসির (৪২)।

পরের বলেই সোহাগ গাজীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান মেন্ডিস। তবে তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান আল-আমিন হোসেন।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩০ ও একবার জীবন পাওয়া আল-আমিন হোসেন ৩ রান নিয়ে শুক্রবার চতুর্থ দিন শুরু করবেন।

৮৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার মেন্ডিস।

আগের দিন কুমার সাঙ্গাকারার ত্রি-শতকে ৫৮৭ রানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৩১৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পথে সবচেয়ে দ্রুত ১১ হাজারে পৌঁছানোর রেকর্ড ভেঙ্গেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

১৪৮ রানে ৫ উইকেট নেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চোটের কারণে দ্বিতীয় দিন চোটের কারণে মাঠে নামেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক ও নিয়মিত উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন সতীর্থদের টেস্ট মেজাজে খেলার আহ্বান জানান।

প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ২৪৮ রানে হেরে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কা: ৫৮৭ (সাঙ্গাকারা ৩১৯, জয়াবর্ধনে ৭২, মেন্ডিস ৪৭; সাকিব ৫/১৪৮, নাসির ২/১৬)

বাংলাদেশ: ৪০৯/৮ (তামিম ০, শামসুর ১০৬, ইমরুল ১১৫, মুমিনুল ১৩, সাকিব ৫০, মুশফিক ২০, নাসির ৪২, মাহমুদুল্লাহ ৩০*, সোহাগ ০, আল-আমিন ৩*; মেন্ডিস ৪/৮৪, পেরেরা ৩/১১৯, লাকমল ১/৬৮)
ক্রিকেটের আরো খবর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০২:০৩   ৪২৪ বার পঠিত