বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় নতুন করে তদন্ত হবে : প্রধানমন্ত্রী
Home Page » জাতীয় » ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় নতুন করে তদন্ত হবে : প্রধানমন্ত্রীবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেহেতু ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালেদা জিয়া ও হাওয়া ভবনের নাম আলোচনায় এসেছে। তাই নতুন করে এটা তদন্ত করা হবে। কোথায় থেকে এ অস্ত্র এসেছে কারা অর্থদাতা আর কারা ষড়যন্ত্রকারী নতুন করে তাদের খোঁজা হবে। এ বিষয়ে আর্ন্তজাতিকভাবেও তদন্ত করা হচ্ছে। যেকোনোভাবেই হোক বাংলাদেশের মাটিতে আমরা কোনো রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবো না।
মগলবার জাতীয় সংসদে সংসদ নেতার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র যে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পাচার হচ্ছিল তার সঙ্গে তৎকালীন হাওয়া ভবনের সম্পৃক্তরা ছিল কি-না তা খুঁজে বের করার জন্য আরেকটি তদন্ত কমিটি হতে পারে। আমাদের দেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো দেশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে তা আমরা হতে দেবো না।
তিনি বলেন, ‘ বিডিআর বিদ্রোহে যে ৫৭ জন অফিসার মারা গেছেন তার মধ্যে ৩৮ জন অফিসার কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের নেতাদের আত্মীয়। প্রশ্ন হলো বিএনপি নেত্রী বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার আগে কোথায় আত্মগোপনে গিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই ওই দুই জন সার্জেন্টকে যারা এ অস্ত্র চোরাচালানটি ধরেছিল। অবশ্য খালেদা জিয়ার সরকার তাদের শাস্তিও দিয়েছিল। আজকে জানা যাচ্ছে যে, অস্ত্র চালান আটকের পর সামরিক কর্মকর্তারা খালেদা জিয়াকে জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি মৌন থেকেছেন। কথায়তো বলে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ।
তিনি বলেন, ‘বহু ঘটনা এদেশে হয়েছে যেগুলোর আমরা বিচার পাইনি। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বিচার পাইনি। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের জিয়াউর রহমান দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। এদেশে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়ার মতো অনেকবার ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত। বঙ্গবন্ধুতে হত্যার পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে একটি ভাল অবস্থান তৈরি করে। তারা অস্ত্র ও সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরিয়া সারকারখানায় ১০ ট্রাক অস্ত্র খালাস করা হয়েছে। এটা শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এখানে সরকারের মদদ না থাকলে এতো অস্ত্র একটি জেটিতে নামিয়ে ট্রাকে ওঠানো সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘কেন বাংলাদেশ হবে অস্ত্র চোরাচালানের রাস্তা। কেন বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্বর্গে পরিণত করা হবে। অতীতেও প্রকৃত আসামি বা চোরাচালানিদের ধরা হয়নি। আমরা তদন্ত করছি। প্রকৃত আসামিদের ধরা হবে। ছাড় পাবে না কেউ।’
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালে আমার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। মারা যায় আইভি রহমান। আমার বেঁচে থাকাটা আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কিছু নয়। সে হামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী মারা যায়। অনেকে এখনো স্প্রিন্টার দেহে নিয়ে বেঁচে আছে।’
বাংলাদেশ সময়: ০:২৯:৩৯ ৪০৫ বার পঠিত