শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৪

সূচিত্রা কাহিনী

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » সূচিত্রা কাহিনী
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৪



suchitra-sen-2-3.jpgতমালঃবঙ্গ-নিউজডটকমঃপাবনার এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম নেয় এক শিুশু, ৬ এপ্রিল ১৯৩১ সাল। শিশুটির মুখ দেখেই খুশিতে আত্নহারা বাড়ির কর্তা করুণাময় দাশগুপ্ত। এলাকাবাসীকে মিষ্টি বিতরণ করেন সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানের জনক। মেয়ের নাম রাখেন রমা দাশগুপ্ত। সেই রমাই আজকের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।সংসারের পঞ্চম সন্তান এবং তৃতীয় কন্যা রমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনের বাড়িতে। বাবা ছিলেন এলাকার প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাবনার মহাখালি পাঠশালায় পাঠজীবন শুরু করেন রমা। প্রাইমারি পাঠ চুকিয়ে তিনি ভর্তি হন পাবনা গার্লস স্কুলে। এখানে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি।

দেশ ভাগের সময় রমাদের চলে যেত হয় কলকাতায়। শুরু হয় নতুন জীবন, নতুন সংগ্রাম। কলকাতায় গিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সুচিত্রা। ১৯৪৭ সালে তিনি সাতপাকে জড়ান দিবানাথ সেনের সঙ্গে। সুচিত্রার দাদাশ্বশুরের নাম দীননাথ সেন। ঢাকার গেন্ডারিয়ায় দীননাথ সেন নামে একটি সড়ক আছে। ওই সড়কেই বাড়ি ছিল। সোনা মিয়ার রসগোল্লা নামে একটি দোকান ছিল এ সড়কেই। সুচিত্রার খুব প্রিয় ছিল সোনা মিয়ার হাতে তৈরি রসগোল্লা।

দেশ ভাগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সুচিত্রার শ্বশুরবাড়ির মানুষ চলে আসেন কলকাতায়। বালিগঞ্জে গিয়ে আবাস গড়েন দীননাথের ছেলে আদিনাথ সেন। জমিদারি এস্টেটও কিনেছিলেন তিনি। আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেন বিলেত থেকে পড়াশোনা করে এসেছিলেন। আদিনাথ সেন ছেলের জন্য পাত্রি খুঁজছিলেন। পাবনা থেকে সদ্য কলকাতায় যাওয়া মেয়ে রমা দাশগুপ্তকে দেখেই মুগ্ধ হন তিনি। রমার বাবাকে জানানো হলে আর অমত করেননি তিনি। তাই ১৯৪৭ সালে মাত্র এক দিনের সিদ্ধান্তে রমার বিয়ে হয়ে যায় দিবানাথ সেনের সঙ্গে। শ্বশুরবাড়ি থেকেই তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় সেন উপাধি। রমা দাশগুপ্ত হয়ে যান রমা সেন।

শ্বশুরবাড়ির থেকেই রমা অভিনয়ে আসেন। অভিনয়ের ব্যবস্থা করেন তার শ্বশুর। কেননা নামকরা নির্মাতা বিমল রায় ছিলেন রমার মামাশ্বশুর। সমা সনেকে সুচিত্রা সেন হিসেবে গড়ে তোলেন বিমল রায়। প্রথমে অন্যদের ছবিতে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে বিমল রায় সুচিত্রা সেনকে হিন্দি ‘দেবদাস’ছবিতে দীলিপ কুমারের বিপরীতে অভিনয় করান। পার্বতী চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয়ের পর আর থেমে থাকতে হয়নি সুচিত্রাকে। অভিনয়ে শ্বশুরের পাশাপাশি সুচিত্রাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন স্বামী দিবানাথ সেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে আর টিকেনি সম্পর্ক। ১৬ বছর সংসার করে তারা ইতি টানেন সংসার জীবনের।

বাংলাদেশ সময়: ১২:২৩:১৮   ৪৫৪ বার পঠিত