বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১২

বার্ধ্যক্য প্রতিরোধের সর্বশেষ্ঠ খাদ্যদ্রব্য

Home Page » ফিচার » বার্ধ্যক্য প্রতিরোধের সর্বশেষ্ঠ খাদ্যদ্রব্য
বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১২



184520_455558334500762_1396979580_n.jpgবঙ্গ নিউস ডট কমঃ ১)বেরিঃ ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি-এগুলোতে আছে ভিটামিন সি যা মুখের বলিরেখা দূরীকরণে বিশেষ ভুমিকা রাখে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার হার্টের সুস্থতায় অবদান রাখে ও ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে, এন্টিঅক্সিডেন্ট খাদ্য থেকে জাত দূষিত পদার্থের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর কে বাচায় এবং polyphenols বয়সজনিত স্বরণশক্তি কমে যাওয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

২)সবুজ, পাতা জাতীয় সব্জীঃ স্পিনাচ ও লেটুস- এতে আছে ভিটামিন k যা বার্ধক্যজনিত হাড় ক্ষয় কে প্রতিরোধ করে lutein ও zeaxanthin একসাথে মিলে দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষা করে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে বাচায়।

৩)বিন ও ডালঃ এতে থাকা চর্বিহীন প্রোটিন মাংসপেষীর ভেঙ্গে পরাকে রোধ করে (পেষী ক্ষয়ের কারণে শরীরে বুড়োটে ভাব বেশী আসে) এবং মিনারেল হাড় শক্ত করে।

৪)টকদইঃ এতে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের সৌন্দর্য্য ধরে রাখে অনেকদিন। টকদই এ থাকে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া যা আমাদের ইমিউনো সিস্টেম কে কার্যকর করে তোলে এবং ইনফ্ল্যামেশন কমায়। ইনফ্ল্যামেশন এজিং বা বার্ধক্য আনয়নের ্সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

৫)আমন্ডঃ আমন্ড ভিটামিন ই তে পরিপূর্ণ যা সেল মেমব্রেন বা কোষের বহিরাবরণ কে মজবুত করে ত্বক কে টানটান সুন্দর রাখে।

৬) মাছের তেলঃ মাছের তেলে আছে প্রচুর ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা কোষের বহিরাবরণ কে মজবুত করে এবং পানি ধরে রাখে। ফলে ত্বকে সতেজ ভাব বজায় থাকে।

>বার্ধ্যক্য প্রতিরোধের সর্বনিকৃষ্ট খাদ্যদ্রব্যঃ

১) চিনিঃ চিনি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বা টানটান ভাব নষ্ট করার জন্য দায়ী। পাশাপাশি হাই-প্রেশার ও ক্যান্সারেও সে ভূমিকা রাখে।

২) লবনঃ লবন প্রেশার বাড়ায় তা তো সবারই জানা। কিন্তু পাশাপাশি এটি শরীরে পানি ধরে রেখে মুখ, হাত ও পা এর ফোলাভাব সৃষ্টির জন্যও দায়ী।

৩) এলকোহলঃ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় মিনারেল তো শরীর থেকে বের করে দেয় ই পাশাপাশি ত্বক থেকে পানি বের করে বলিরেখা কে স্পষ্ট করে তোলে।

৪) প্রকৃয়াজাত খাদ্যঃ এর মধ্যে আছে প্রকৃয়াজাত শস্য (যেমন সাদা চাল, আটা ও তা থেকে তৈরী রুটি-বিস্কুট যা আমরা নিয়মিত খাই), প্রকৃয়াজাত দুগ্ধ (পাস্তুরাইজড দুধ যা আমরা নিয়মিত খাই) এবং প্রকৃয়াজাত মাংস(যেমন সসেজ), রিফাইন্ড শস্যের খোসা ফেলার সাথে সাথে এ থেকে বেশিরভাগ পুষ্টিগুন চলে যায় এবং এতে অবশিষ্ট থাকে শুধু চিনি। প্রকৃয়াজাত দুধের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য কেননা পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে এতে থাকে ৫০ শতাংশ ক্যালসিয়াম নষ্ট হয়ে গিয়ে শুধুমাত্র দুধে থাকা বিশেষ ধরণের চিনি (ল্যাকটোস) টুকু রয়ে যায়। আর প্রকৃয়াজাত মাংস যে এজিং (বার্ধক্য আনয়ন) ও কোলন ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তা এখন অনেকগুলো রিসার্চ দ্বারা প্রমাণিত।

৫) আর্টিফিসিয়াল ফুডঃ বিভিন্ন খাবারে থাকা কৃত্রিম উপাদান যেমন ফ্লেভার, এসেন্স, রঙ, স্যাকারিন, টেস্টিং সল্ট- ইত্যাদি সরাসরি এজিং এর সাথে সম্পর্ক্যুক্ত।

৬) রান্নার তেল বা ভেজিটেবল ওয়েলঃ আমরা রান্নার কাজে সাধারণত ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড যুক্ত তেল ব্যবহার করি।এই তেল সহজেই অক্সিডাইজড হয়ে এমন বস্তুতে রুপান্তরিত হয় যা ত্বকের কোলাজেনকে আক্রমন করে ত্বককে বুড়িয়ে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪২:৫৬   ৫৯২ বার পঠিত