শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৪
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় এক হলেন আ. লীগ-বিএনপি নেতারা
Home Page » এক্সক্লুসিভ » সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় এক হলেন আ. লীগ-বিএনপি নেতারাবঙ্গ-নিউজঃ হামলা প্রতিরোধে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের ক্ষত্রিয়পাড়ায় রাত জেগে পাহারায় হিন্দু সম্প্রদায়।
হামলা প্রতিরোধে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের ক্ষত্রিয়পাড়ায় রাত জেগে পাহারায় হিন্দু সম্প্রদায়।
নির্বাচনের পরে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানে হাতে হাত রেখেছেন গাইবান্ধার সদর উপজেলার একটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা।
বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতিরোধের ঘোষণার মধ্যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরদিন উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে হামলা হয়।
এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্কের মধ্যে কুপতলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রধান দলের নেতারা একসঙ্গে বৈঠক করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে একমত হন।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে গাইবান্ধায় ভোটবিরোধীদের ব্যাপক গোলযোগে তিনটি আসনে নির্বাচন স্থগিত হয়।
সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। সেখানে হিন্দুপাড়াগুলোতে রাত জেগে পাহারাও দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে বেড়াডাঙ্গা বাজার চত্বরে কুপতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সভা হয়, যাতে দুই প্রধান দলের নেতারা ছিলেন।
মজিবর বলেন, “দুই দলের নেতারা সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ঘোষণাও দিয়েছেন।”
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াদ আলী বলেন, “এলাকায় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকল স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে আমরা উভয় দলের নেতাকর্মীরা একমত হয়েছি।”
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়জার রহমান সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় একযোগে কাজ করার কথা জানান।
“এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই যে, ভবিষ্যতে এ (কয়েকদিন আগের হামলা) ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না,” বলেন বিএনপির ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশিদ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের একমত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে একে স্বাগত জানান।
গত ৬ জানুয়ারি রাতে ওই ওয়ার্ডে হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তাদের ঘর ভাংচুর করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। মারধর করা হয় ননী গোপাল ও নরেশ চন্দ্র নামে দুজনকে।
এই ঘটনার জের ধরে ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকর্মীরা কুপতলা বাজারে মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে মারধর করা হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর গাইবান্ধায় তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় একদিনেই হত্যা করা হয় তিন পুলিশ সদস্যকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:৪৪ ৩৮৬ বার পঠিত