মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৪

নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় প্রাণহানির নতুন রেকর্ড : ডয়েচে ভেলে

Home Page » প্রথমপাতা » নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় প্রাণহানির নতুন রেকর্ড : ডয়েচে ভেলে
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৪



dwlogo-print_20877.gifবঙ্গ-নিউজডটকম:নির্বাচন বর্জন করে তা প্রতিহতের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বিএনপিসহ ১৮ দল। কার্যত নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন প্রতিহতে মাঠে নামে তারা। তবে তাদের ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল সরকারও। কিন্তু তারপরও প্রাণহানি থামানো যায় নি।গত বছরের ২৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে শনিবার পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট ছয় দফায় ২৬ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এই সময় সারাদেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৩ জন। আর রোববার নির্বাচনের দিন বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সহিংসতায় নিহত হন কমপক্ষে ১৮ জন। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনকে।

এত প্রাণহানি আগে ঘটে নি : ১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শুরুর পর রোববার পর্যন্ত ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবারের মতো এতো প্রাণহানির ঘটনা এর আগে আর কোনো নির্বাচনে ঘটে নি। ১৯৯৬ সালে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করে বিএনপি। ওই বছর নির্বাচন ঘিরে প্রাণ হারান ৪১ জন। আর ২০০১ সালের নির্বাচন ঘিরে নিহত হয়েছিল ৩৮ জন। সবশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতাই হয় নি। কোনো প্রাণহানির খবরও পাওয়া যায় নি। এই নির্বাচনটি সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে হয়েছে।

নির্বাচনে এত প্রাণহানির পরও পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ।’ তাহলে এত প্রাণহানি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সবকিছু নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেললে হবে না। শুধু নির্বাচন নয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। এর জন্যও একটি মহল সন্ত্রাস করছে। এতেও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।” তবে সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।

ভোট গ্রহণের আগেই সহিংসতা শুরু : রোববার সকালে নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই শুরু হয় সহিংসতা। আর এই সহিংসতা চলে ভোটগ্রহণের পুরো সময় ধরে। নির্বাচন বিরোধীরা ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। এই সহিংসতায় একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ সারাদেশে ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। কারণ, এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রায় ৫২ ভাগ ভোটারের তাই ভোট নেই। আর এই নির্বাচন শুধু বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলীয় জোটই বর্জন করছে না, সিপিবি, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং বিকল্পধারার মতো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলও এই নির্বাচন বর্জন করেছে।

ভারত ছাড়া আর কোনো দেশের সমর্থন নেই এ নির্বাচনে। মানুষ এই নির্বাচনকে গ্রহণ করে নি। তাই তারা ভোটকেন্দ্রে যায় নি বলে মনে করেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৪:৪৩   ৩৭৩ বার পঠিত