সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩

সাংবাদিক যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ঢাবি ভিসি

Home Page » সারাদেশ » সাংবাদিক যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ঢাবি ভিসি
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩



6476_arefin11.jpgঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলামকে অপসারণ এবং হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। দাবি আদায়ে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকেরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এ আল্টিমেটাম দেন তারা। এসময় সাংবাদিকেরা কার্যালয়ে গেলে ভিসি ুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।
এর আগে সাদা দলের দেড় শতাধিক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল সহকারে ভিসির কার্যালয়ে যান এবং পুরাতন সিনেট ভবনে মিলিত হয়ে ভিসির কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। ভিসি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বেরিয়ে আসেন।
তবে সাদা দলের শিক্ষকদের ভিসির সিদ্ধান্ত মনো:পূত না হওয়ায় আবার ভিসির কার্যালয়ে যান এবং তাকে কিছু সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে শিক্ষকেরা শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলামের অপসারণ, শিক্ষকদের উপর হামলাকারী আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানান।
এসময় সাংবাদিকেরা ভিসির কার্যালয়ে যাওয়ায় ুব্ধ হন ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। ডেইলি স্টারের ফটো সাংবাদিক এমরান হোসেন ছবি তুলতে গেলে তিনি তাকে বকাঝকা করে ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টারদেরকেও ধমকান তিনি। এছাড়া মাসুদ নামে পেশাজীবিলীগের এক নেতা ভিসির কার্যালয়ের ভেতরেই সাংবাদিকদের সাথে অশোভনীয় আচরণ করেন। পরে ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক সাংবাদিকদেরকে বলেন, শিক্ষকেরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। বিষয়টি ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওদিকে দাবি আদায়ে শিক্ষকেরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে শিক্ষকেরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানান। এছাড়া রোববার রাতে শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সভায় শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। একইসাথে মঙ্গলবার এর প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড. মোঃ আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. লূৎফর রহমান, ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ড. আবুল বাশার, ড. রাশিদুল হাসান, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. আব্দুল আজিজ, ড. আবুল বাশার, ড. সিরাজুল ইসলাম, ড. আশরাফুল ইসলাম, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আবুল হাসনাত, ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. তাহমিনা আখতার, মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া, মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রোববার আঠারো দলীয় জোটের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে মিছিল সহকারে রওনা হলে কদম ফোয়ারার সামনে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা পিছন দিকে ওপর হামলা চালায়। এতে সাত শিক্ষক আহত হওয়া ছাড়াও অনেকে মারধরের শিকার হন। লাঞ্ছিত করা হয় ২ নারী শিক্ষিকাকেও।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০১:৪৫   ৩৪৭ বার পঠিত