শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৩
মাঠে সেনা থাকবে ১৫ দিন
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মাঠে সেনা থাকবে ১৫ দিনবঙ্গনিউজ ডটকমঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ভোটের আগে-পরে ১৫ দিন সশস্ত্রবাহিনী মাঠে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন সামনে রেখে শুক্রবার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা থাকবে। পরিস্থিতি ভালো থাকলে কোনো কোনো স্থানে কম থাকবে, কোথাও অসুবিধা হলে সেনা সদস্য বাড়ানো হবে।”
সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য ছাড়াও বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, ব্যাটালিয়ন আনসার, আনসার, ভিডিপি, কোস্টগার্ড সদস্যরাও ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত থাকবেন।
বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা কমিশন এখনো চূড়ান্ত করেনি। এ জন্য আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা, যদিও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের কারণে একক প্রার্থী থাকায় ১৫৪টি আসনের ফল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে ভোট হবে ১৪৬টি আসনে।
সিইসি জানান, ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েনে কর্মকর্তাদের প্রাথমিক রূপরেখা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতোজন সদস্য মোতায়েন করা হবে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ২০০৮ সালের চেয়ে এ সংখ্যা বেশিও হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিব বলেন, “আপাতত ৯ জানুয়ারির পর সেনাবাহিনী মাঠে থাকার প্রয়োজন অনুভব করছি না। প্রয়োজন অনুসারে স্থানীয় পরিস্থিতি দেখে এ সময়সীমার তারতম্য করা হবে। ওই সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
নির্বাচন বর্জন করে আসা বিরোধী দল তফসিল ঘোষণার পর থেকেই কেবল ছুটির দিনগুলো ছাড়া প্রতিদিন সারা দেশে অবরোধ চালিয়ে এলেও সিইসি মনে করছেন, ভোটের আগে বর্তমান পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা সারাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈঠকে অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি।
“তারা অবহিত করেছেন- পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন, আপনারাও দেখে থাকবেন- ঢাকাসহ পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতি হচ্ছে।”
নির্বিঘ্নে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য পরিস্থিতির আরো উন্নতি ঘটাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন সিইসি।
“সন্ত্রাসী কারো দলের নয়, টাকার বিনিময়ে কাজ করে। তাদের ধরতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন- এ পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।”
সারা দেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, এই চেষ্টা আরো জোরদার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:১৯:০৬ ৪৬৬ বার পঠিত