শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৩

বোমা মেরে ‘বিদ্যুৎ অফিস উড়িয়ে দেয়ার’ পরিকল্পনা

Home Page » প্রথমপাতা » বোমা মেরে ‘বিদ্যুৎ অফিস উড়িয়ে দেয়ার’ পরিকল্পনা
শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৩



khulna-picture-01-06-12-1.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ খুলনায় রেলে নাশকতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের আট কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা একটি বিদ্যুৎ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ.বৃহস্পতিবার রাতে ছয়টি হাতবোমাসহ গ্রেপ্তারের পর ওই আট জনকে শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। সেখানে তাদের একজন সাংবাদিকদের সামনে ওই পরিকল্পনার কথা স্বীকারও করেন।

গ্রেপ্তার আটজন হলেন- জামায়াতকর্মী মো. শাহজাহান শেখ (৩০), ফকির মো. মামুন (২৭), আজাদ শেখ (২৪), বিন-এ-আমিন (২৮) ও শামীম শেখ (৪১) এবং বিএনপিকর্মী হুসাইন আহমেদ (২৬), নাজমুল গোলদার (২৪) ও কামরুজ্জামান মোল্লা (৫৫)।

জেলার পুলিশ সুপার গোলাম রউফ খান সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফুলতলা উপজেলার বুড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামে ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর মো. ইব্রাহীমের বাড়িতে অভিযান চালায়।

“সেখানে তারা বৈঠক করছিল। তাদের কাছ থেকে ছয়টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে থাকা আরো ১০/১২জন পালিয়ে গেছে।”

পুলিশ সুপার জানান, ওই বৈঠকে ফুলতলার বিদ্যুৎ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার ফুলতলা থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

“এরাই গত ৩ ডিসেম্বর ফুলতলার বেজেরডাঙ্গা স্টেশনের কাছে যুগ্নিপাশা এলাকায় রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে রেখেছিল। ফলে সেখানে নকশীকাঁথা ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়।”

ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতকর্মী শাহজাহান শেখ বলেন, তাদের ৫২ জনের একটি দল অবরোধে রেললাইনে নাশকতা এবং ৪৫ জনের একটি দল গাছ কেটে সড়ক অবরোধের ‘দায়িত্বে’ আছে।

ফুলতলার বিদ্যুৎ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু সাংবাদিকদের বলেননি শাজাহান।

গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে জামায়াতকর্মী ফকির মামুন জানান, জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় তিনি ছয় বছর সাজাও ভোগ করেছেন।

নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের দুই দফা অবরোধে সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা চালায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়, যানবাহনে দেয়া হয় আগুন, বোমায় দগ্ধ হয় বহু মানুষ।

গত ২৬ নভেম্বর থেকে দুই দফায় নয় দিনের অবরোধে সহিয়সতায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৩:৫২   ৪৩৩ বার পঠিত