বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৩
এমটিটি পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষে সফলতা
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » এমটিটি পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষে সফলতাবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ শেখ মোসলেহ উদ্দিন বাদশা, ষ্টাফ রিপোর্টার, পাইকগাছা (খুলনা) ইউএসআইডি এর অর্থায়নে ওয়াল্ড ফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত অ্যাকুয়াকালচার ফর ইনকাম এন্ড নিউট্রিশন প্রকল্প মানসম্মত অধিক চিংড়ী উৎপাদনের লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের চিংড়ী চাষীদের নিয়ে দল গঠনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় আশাশুনি থানার দরগাহপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হতাশাগ্রস্থ চিংড়ী চাষী মধুসদন মন্ডল চিংড়ী চাষী দলের সদস্য হয়ে প্রত্যেকটি প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করে বুঝতে পারেন যে, তারা যেভাবে ঘের পরিচালনা করতো তাতে বেশি উৎপাদন হতো না। তাই তিনি পোনা বাঁচানোর হার বৃদ্ধির জন্য স্থায়ী নার্সারী তৈরী করে প্রশিক্ষনে প্রাপ্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পানির গভীরতা বৃদ্ধি, নিয়মিত চুন প্রয়োগ, ব্লিচিং পাওডার দিয়ে নার্সারী পুকরের পানি শোধন, লবনাক্ততা পানি পিএইচ পরীক্ষা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য প্রবেশ করে ঘের পরিচালনা করেছে। যার ফলে তার ১৯৮ শতক জমির ঘের থেকে এ পর্যন্ত ৪২৫ কেজি বাগদা উৎপাদন করেছে। তিনি আরও অধিক আয় করবেন বলে আশা করেন। এ উৎপাদন দেখে এলাকার অন্যান্য চাষীরাও স্থায়ী নার্সারী তৈরীর মাধ্যমে ঘের পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। চাষী মধুুসুদন জানান-সকলেই যদি এমটিটি পদ্ধতিতে ঘের পরিচালনা করে তাহলে অধিক চিংড়ী উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্র অর্জন করা সম্ভব। উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে কারিগরি বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক বলেন-গুনগত, মানসম্মত, অধিক চিংড়ী উৎপাদনের জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রকল্পের ডেপুটি চিপ অফ পার্টি ড. মনজুরুল করিম সুদক্ষ কর্ম পরিকল্পনা, ট্রেনিং ম্যানেজার মোঃ মাসুুদুর রহমান এর সঠিক দিক নির্দেশনা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী কুদরত-ই করিম এর সুস্ঠু ব্যবস্থাপনায় ও আন্তারিক প্রচেষ্ঠায়
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৭:৫৩ ৫৮৬ বার পঠিত