শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৩
বিএনপির ৫ নেতা জেলহাজতে, শুনানি বৃহস্পতিবার
Home Page » জাতীয় » বিএনপির ৫ নেতা জেলহাজতে, শুনানি বৃহস্পতিবারবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ২ মামলায় অভিযুক্ত প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় ৫ নেতাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জয়নাব বেগম এ আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। এছাড়া এসব নেতার ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন শুনানি বৃহস্পতিবার করার দিনও নির্ধারণ করেন তিনি। বিএনপির অভিযুক্ত নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। এর আগে মহানগর গোয়েন্দা(ডিবি) পুলিশ হেফাজতে থাকা বিএনপির ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হয় এবং প্রতিটি মামলায় দশ দিন করে মোট ২০ দিন তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আসামিপক্ষে শুনানি করেন- ব্যারিস্টার রফিকুল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াসহ শতাধিক আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর হাকিম আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু, জেলা পিপি খন্দকার আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত জেলা পিপি শাহআলম তালুকদার। এর আগে শনিবার সকাল থেকে আটক বিএনপি নেতাদের আদালতে আনার আগে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় কয়েক’শ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এদিকে আটক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রায় ৫ শতাধিক আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে আটক বিএনপি নেতাদের শনিবার মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এর একটি দায়ের করা হয় গত ৫ নভেম্বর (মামলা নম্বর ১৬) ও অপরটি দায়ের করা হয় ২৪ সেপ্টেম্বর (মামলা নম্বর ৪৪)। উভয় মামলায়ই হয় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দান ও বিস্ফোরক আইনে।
মতিঝিল থানার দুই এসআই জাহিদ হোসেন ও মিজানুর রহমান এ দুই মামলায় তাদের দশ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটকের পর তাদের মিন্টু রোডে ডিবি অফিসে নিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার ভোর থেকে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতাল ঘোষণা দেওয়ার ঘণ্টা পাঁচেকের মাথায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। একই সময়ে তল্লাশি চালানো হয় আরো ক’জন নেতার বাসায়। এর পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালেও গাড়ি পোড়ানোর খবর পাওয়া যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহযোগী আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বঙ্গনিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠান শেষে আমরা হোটেল সোনারগাঁও থেকে বের হচ্ছিলাম। আমাদের গাড়ি চলতে শুরু করলে সাদা পোশাকে একদল গোয়েন্দা পুলিশ এসে স্যারকে (মওদুদ) ধরে নিয়ে যায়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দু’টি দল এমকে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকেও আটক করে। রাত ১টার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে তার গুলশানের বাসা থেকে ও ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় আটক করা হয়। এছাড়া যাদের বাসায় তল্লাশি চালানো হয় তাদের মধ্যে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
এছাড়া বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরের বাসায়ও পুলিশ যায়।।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২২:৫৩ ৩৭৩ বার পঠিত