সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৩
সাংবাদিককে পুলিশ: ‘গুলি করে মারব, কবুতরের মতো ছটফট করে মরবি’
Home Page » প্রথমপাতা » সাংবাদিককে পুলিশ: ‘গুলি করে মারব, কবুতরের মতো ছটফট করে মরবি’রোববার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হরতালের সমর্থক মিছিলকারী ও পিকেটারদের ধাওয়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রায় ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল।
তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহমেদ সজল ও সকালের খবরের খালেদুন রাতুলের ওপর চড়াও হন আশুলিয়া থানার এসআই রাকিব। এক সাংবাদিকের পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিয়ে তিনি বলেন, ‘গুলি করে মারব, কবুতরের মতো ছটফট করে মরবি। দুই সাংবাদিককে থানায় নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন তিনি।
ছাত্রদল কর্মীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর পর রোববার সকাল আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা প্রধান ফটকের সামনে তাৎক্ষণিকভাবে অবস্থান নিলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন আমির হোসেন, প্রক্টর মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য শিক্ষকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এসআই রাকিবের নেতৃত্বে থাকা টহলরত পুলিশের দলটিকে প্রত্যাহার করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার প্রতিকারে দ্রুত পদক্ষেপে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
গুলি বর্ষণ, পুলিশি হয়রানি ও প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বে অবহেলার প্রতিবাদে অমর একুশের পাদদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করে ক্ষোভ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অন্য সাংবাদিকরা।
পুলিশি লাঞ্ছনা ও হয়রানি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গুলি বর্ষণের নিন্দা জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার যথাযথ শাস্তির দাবি করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, সাধারণ শিক্ষক ফোরাম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও সাভার প্রেসক্লাব।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৪:২১ ৪৭১ বার পঠিত