শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৩

‘খালেদাকে হাসিনার ফোন সন্ধ্যার পরই’

Home Page » জাতীয় » ‘খালেদাকে হাসিনার ফোন সন্ধ্যার পরই’
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৩



h-k-0120130912162636.jpg
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে আলোচনার জন্য শনিবার সন্ধ্যার পরই বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করবেন বলে জানিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক রয়েছে, ওই বৈঠকের পরই বিরোধী দলের নেতার কাছে টেলিফোন যাচ্ছে। রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখে যে টেলিফোন দেশবাসীর জন্য স্বস্তি আনবে বলে রাজনৈতিক মহলের প্রত্যাশা।

সুরঞ্জিত দুপুরে এক আলোচনা সভায় বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সভা রয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই, ওই সভা শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আপনাকে [বিরোধীদলীয় নেতা] ফোন দেবেন।

“আমি প্রত্যাশা করব, দেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে আপনি আমাদের সহযোগিতা করবেন।”

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার জনসভায় বক্তব্যে আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তা না হলে রোববার থেকে তিন দিন হরতালের ঘোষণাও দেন তিনি।

বিরোধী দলের জনসভার আগেই তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছিলেন, আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকে টেলিফোন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়ে তাতে অংশ নিতে গত ১৮ অক্টোবর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এর পর খালেদা জিয়া পাল্টা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দিয়ে তা নিয়ে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেন বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরপর আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে টেলিফোন করলে সংলাপের একটি আবহ তৈরি হয়।

এর মধ্যেই দশম সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনার প্রথম দিন শুক্রবার জনসভায় এসে আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারকে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন খালেদা জিয়া।

রাজধানীর গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত হরতাল ডাকার সমালোচনাও করেন।

তিনি বলেন, “আপনি যে আল্টিমেটাম দিয়েছেন, তাতে শান্তির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। গতকাল জনসভায় বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে মূলত তিনি শান্তিপূর্ণ সংলাপের পরিবেশকে রুদ্ধ করার জন্যই এই পদক্ষেপ।”

বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে খালেদার বক্তব্যের সমালোচনা করে এই বক্তব্যের বাখ্যাও দাবি করেছেন সুরঞ্জিত।

গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে বিরোধীদলীয় নেত্রী ‘বিচ্যুত’ হলেও আওয়ামী লীগ তা হবে না, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩০:০৮   ৩২৬ বার পঠিত