শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৩
সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাবি উপাচার্যের
Home Page » শিক্ষাঙ্গন » সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাবি উপাচার্যেরঅবশেষে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু ও সিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। প্যানেলের নির্বাচিত উপাচার্যের হাতে দায়িত্বভার অর্পণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবেন তিনি। তাঁর এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ শিক্ষক ফোরাম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন স্থগিতের ইচ্ছা থাকলেও উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তের কারণে তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে ফোরাম।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে সংবাদ সম্মেলনে জাকসু ও সিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ঘোষণা দেন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, আগামী ৬ ডিসেম্বর জাকসু ও হল ইউনিয়নগুলোর নির্বাচন হবে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিজে প্রার্থী হবেন না তিনি। এ ছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে সিনেটে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিসহ সিনেটে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য সদস্যদের নবায়নের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচিত উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে উপাচার্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই দায়িত্বগুলো সম্পন্ন করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সমান বয়সী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়েই যোগ্য শিক্ষকেরা আছেন। তাঁদের মধ্য থেকে এমন একজন নির্বাচিত উপাচার্যের হাতে দায়িত্বভার অর্পণ করে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাব।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসনে গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উপাচার্য, সাধারণ শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলী, সদস্যসচিব মুহাম্মদ কামরুল আহসানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বিনা শর্তে আন্দোলন প্রত্যাহার এবং উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহযোগিতা দেবেন—এমন সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন বলেও জানান উপাচার্য। এ ছাড়া চারজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে যে রিট আবেদন করেছিলেন, তা প্রত্যাহার করতে উপাচার্য তাঁদের অনুরোধ করবেন। পাশাপাশি প্রশাসনের অংশ হয়ে প্রশাসনবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কারণে যে দুজন হল প্রাধ্যক্ষকে গত মঙ্গলবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, তা উপাচার্য কার্যকর করবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৯:৩৯ ৪৩০ বার পঠিত