বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৩
জাবি উপাচার্যকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির
Home Page » শিক্ষাঙ্গন » জাবি উপাচার্যকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনকে তার পদ থেকে যত দ্রুত সম্ভব সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। উপাচার্যকে রিট প্রত্যাহার করে যত দ্রুত সম্ভব সিনেট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিনাশর্তে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা বলা হয়। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, হুইপ মির্জা আজম, আবদুল ওহাব, বীরেন শিকদার, মু. জিয়াউর রহমান, মমতাজ বেগম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে ১ নভেম্বর থেকে পরিবহনসহ সর্বাত্তক ধর্মঘট পালন ও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৯ অক্টোবর শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও উপাচার্য কর্তৃক দুই শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ অক্টোবরের মধ্যে উপাচার্যকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দেয় শিক্ষক সমিতি। এ সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় ২২ তারিখ থেকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ধর্মঘট শুরু করে শিক্ষক সমিতি। উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটরিয়ামে সকাল ১০টায় শিক্ষক সমিতি এক সাধারণ সভা করে। ১২৬ জন শিক্ষকের অংশগ্রহণে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার এ সভায় উপাচার্যকে পদত্যাগের ফের আলটিমেটাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বেলা সাড়ে ৩টায় নতুন সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা করেন সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন। অন্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে ৯ অক্টোবর শিক্ষকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার রাষ্ট্রীয় আইনে করা, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি ও প্রশাসনিক কাজে অংশ না নেওয়া, এই উপাচার্যের অধীনে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সহযোগিতা না করা তবে উপ-উপাচার্য এম এ মতিনকে (শিক্ষা) লিখিত দায়িত্ব দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময় ঘোষণা করা হলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এবং উপাচার্য কর্তৃক দুই হল প্রভোস্টকে অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, উপাচার্য নিজেই নতুন নতুন নাটক তৈরি করছেন। সিন্ডিকেট কর্তৃক মনোনীত দুজন হল প্রভোস্টকে কোনো কারণ ছাড়াই অব্যাহতি দিয়েছেন।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, এই উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা কোনো কাজে প্রশাসনকে সহায়তা করবেন না। এ অবস্থায় ঘোষিত ২-৯ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা কোনোভাবেই অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়। বন্ধের মধ্যে ১৫-২৮ অক্টোবর ভার্তি পরীক্ষার আবেদনের যে সময় দেওয়া হয়েছে তা অনেক ভর্তিচ্ছুই জানে না। তাই এই অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদনও করতে পারবে না। বিশেষ করে গ্রামের ভর্তিচ্ছুরা বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ায় ২-৯ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা হওয়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৭:০৯ ৫১১ বার পঠিত