বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৩

ফাঁকা রাজপথে তৎপর পুলিশ

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » ফাঁকা রাজপথে তৎপর পুলিশ
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৩



police-w_20319.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ১৮ দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বুধবার মধ্যরাতের ফাঁকা রাজপথেও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করতে বুধবার রাতেই বিজিবি নামবে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লেও মধ্যরাত পর্যন্ত তেমন কিছু দেখা যায়নি। রাতের ফাঁকা ও অপেক্ষাকৃত সংকুল সড়কগুলোতে যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ওপরের নির্দেশে তাদের এই সজাগ অবস্থান ও তৎপরতা চলছে বলে জানান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা। ২৫ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা দূর করতেই এই বিশেষ তৎপরতা বলে জানান তারা। নিয়মিত তল্লাশি কেন্দ্রগুলোতেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দায়িত্বরতরা। বুধবার মধ্যরাতে বারিধারা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সড়ক ঘুরে মোটামুটি ফাঁকা রাস্তার চিত্রই দেখা যায়। মালিবাগ রেলগেটে কিছু পুলিশ সদস্য গাড়ি ও যাত্রীদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য করছিলেন। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় শান্তিনগর মোড়ে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি। মতিঝিলে নটরডেম কলেজের উল্টোদিকের পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নিস্তব্ধ রাতে রাজপথ দিয়ে দ্রুতগতিতে চলমান সিএনজি অটোরিকশাগুলো থামাচ্ছিলেন তারা। তল্লাশির জন্য যাত্রীদের দুই হাত ওপরে তুলে দাঁড়াতে বলা হচ্ছে। পকেট, ব্যাগ, খাবারের কৌটা থেকে শুরু করে সিএনজির সিটগুলোও ব্যাপকভাবে তল্লাশি করতে দেখা গেল। পুলিশ সদস্যরা জানান, প্রায় সবাইকে তল্লাশির নির্দেশ রয়েছে, এরমধ্যে কারও গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তার ওপর আরও বেশি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে রয়েছে চেকপোস্ট। মোড় ঘোরার সময় গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছেন এখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। রাজউক ভবনের সামনে অতিরিক্ত ৠাব সদস্য মোতায়েন লক্ষ্য করা গেল। গাড়ি, যাত্রী ও পথচারীদের দিকে লক্ষ্য রাখছেন তারা। হাতিরঝিল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি নিয়মিত টহলে রয়েছে। মালিবাগ, মগবাজার, খিলগাঁও এলাকায় জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক উপস্থিতি থাকতে পারে সন্দেহে এসব এলাকায় রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অপেক্ষাকৃত অন্ধকার গলি ও মোড়গুলোতে কয়েকজন করে পুলিশ সদস্য পাহারায় রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এসব স্থানে আরও বেশি সতর্ক অবস্থান নেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলেও ১৮ দল তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দুপুরে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ হবেই।

তিনি সরকারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।

এদিকে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এই সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে ‍অটল রয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে ২৫ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে নগরজীবনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নয়াপল্টন ও সংলগ্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি থাকছে এবং এই অবস্থা আরও জোরদার হবে বলে জানা গেছে।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট অভিযোগ করছে, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি ও ধরপাকড় চালিয়ে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

তবে পুলিশ দাবি করছে, কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে কাজ করছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৪:৫৬   ৩৪৬ বার পঠিত