শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৩

সকাল থেকেই মণ্ডপে ভক্তদের ভিড়

Home Page » প্রথমপাতা » সকাল থেকেই মণ্ডপে ভক্তদের ভিড়
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৩



sar.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ঢাকের বোলে অনুরিত হচ্ছে বাঙালি হিন্দুর হূদয়তন্ত্রীতে বাঁধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার। সকল অকল্যাণনাশিনী দেবী দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে বৃস্পতিবার শুরু হয়েছে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোত্সব। সারা বছর বাঙালি হিন্দুরা উন্মুখ হয়ে থাকেন বছরের এ ‍দিনগুলোর জন্য। পূজার আনন্দে উত্সবপ্রিয় বাঙালি মেতে ওঠেন । শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোয় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।সবার পড়নে নতুন জামা-কাপড়। আর শিশু-কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা বাহারী পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে উত্সব মেতে উঠেছে । শারদীয় দুর্গোত্সবের শুক্রবার মহাসপ্তমী। এদিন দেবী-দর্শন ছাড়াও সকাল ৯ট‍া ৫৭‘র মধ্যে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তাদি কল্পারম্ভ, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান করে প্রসাদ গ্রহণ। মহাসপ্তমীতে ষোলটি উপাদানে পূজার মধ্যে সকালে ‍ছিল ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান,দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা দেওয়া। সপ্তমীতে সন্ধ্যায় রয়েছে পূজামণ্ডপগুলোতে ভক্তিমূলক সঙ্গীত, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানা অনুষ্ঠানমালা। তবে সন্ধ্যায় পূজামণ্ডপগুলোতে নামবে ভক্তদের ঢল।সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বের হবেন পূজা দেখতে। ভিড়, যানজট, ঠেলাঠলি হাজারো কষ্ঠ সয়েও ভক্তরা মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা দেখবেন। দুর্গোত্সব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পৃথক বিবৃতিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রতিবছরের মত এবারও ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ মিশনে শনিবার মহাঅষ্টমিতে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী কুমারী পূজা। রাজধানীর মানুষ কুমারী পূজা দেখার জন্য সারা বছর উন্মুখ হয়ে থাকেন। দেবীপক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন। এই দিনটি মহালয়া। অন্যদিকে দেবীপক্ষের সমাপ্তি পঞ্চদশ দিন পূর্ণিমায়। এই দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত ও বার্ষিক লক্ষ্মীপূজার দিন। দুর্গাপূজা মূলত পাঁচদিনের অনুষ্ঠান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উত্সবের সূচনা ও কোজাগরী লক্ষ্মীপূজায় তার সমাপ্তি। এবার মা কৈলাস থেকে বাবার বাড়ি বসুন্ধরায় এসেছেন দোলায় চড়ে। শাস্ত্রমতে- এতে করে মর্তে ঝড়-দৈব-দুর্বিপাক, অস্থিরতা, মড়কসহ নানা অশনি সংকেত বহন করে। তবে বিপদের বার্তা সত্বেও সুখবর হচ্ছে মা বাবার বাড়ি অর্থাৎ মর্ত থেকে কৈলাস যাবেন গজে চড়ে। আশার কথা হচ্ছে এতে করে আগামী বছরটা ধন-ধান্যে শস্যপূর্ণ থাকবে আমাদের এই বসুন্ধরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৩:১৬   ৪১২ বার পঠিত