বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৩

ছাত্রলীগ নেতার ফুসফুস ক্ষতবিক্ষত শিবিরে’র কোপে

Home Page » জাতীয় » ছাত্রলীগ নেতার ফুসফুস ক্ষতবিক্ষত শিবিরে’র কোপে
বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৩




0037.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকম:রাজশাহীতে দুর্বৃত্তদের কোপে শরীফুল ইসলাম নামে ছাত্রলীগের এক নেতার ফুসফুস কেটে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ধারণা করছে, ছাত্রশিবির এ হামলা চালিয়েছে।
ওই হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগ প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে।
শরীফুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী গোলাম রাব্বানি খান ওরফে তুফান। তাঁর বাড়ি নগরের টিকাপাড়ায়। বর্তমানে তিনি বিদেশি জাহাজে চাকরি করেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শরীফুল ইসলাম ও গোলাম রাব্বানি আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ধরমপুর এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে ফিরছিলেন। তাঁরা ধরমপুর মধ্যপাড়ায় পৌঁছলে সাত-আটজন সশস্ত্র যুবক তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবহান বলেন, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা ধারণা করছেন, ছাত্রশিবির এই হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা রিকশা থেকে শরীফুলকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাঁর পিঠের দুই জায়গায় বড় জখম হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা, দুই পা, দুই হাতে ও বাম ঊরুতে গুরুতর জখম হয়েছে। এ সময় গোলাম রাব্বানি রিকশা থেকে নেমে দৌড় দিলে হামলাকারীরা তাঁকে গুলি করে। গুলি তাঁর বাম পায়ের হাঁটুর ওপর লাগে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন শরীফুল ও গোলাম রাব্বানিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শরীফুলের শরীরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান বলেন, ‘শরীফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর পিঠের মাংস ও হাড় কেটে ফুসফুসের একাংশ কেটে গেছে। সারা পৃথিবীতেই ফসফুস মেরামতের কাজটি কঠিন। এখানে চিকিত্সকেরা তাঁর ফুসফুস মেরামত করেছেন। তার পরও তিনি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘হাত-পায়ের শিরা-উপশিরা কাটলেও তো মানুষ দাঁড়াতে পারে; কিন্তু আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে, হত্যার উদ্দেশ্যেই তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে। গোলাম রাব্বানির হাঁটুর ওপর শুধু একটা গুলি লেগেছে। তিনি শঙ্কামুক্ত।”নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪৯:৫১   ৩৮৮ বার পঠিত