সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৩
চট্টগ্রামে হেফাজত নেতার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ, এক ছাত্রের হাতের পাঁচটি আঙুল উড়ে গেছে, ৩ টি তাজা গ্রেনেড এবং ৫০টি বোমা উদ্ধার
Home Page » সংবাদ শিরোনাম » চট্টগ্রামে হেফাজত নেতার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ, এক ছাত্রের হাতের পাঁচটি আঙুল উড়ে গেছে, ৩ টি তাজা গ্রেনেড এবং ৫০টি বোমা উদ্ধারবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বিস্ফোরণে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের লালখানবাজার জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসায় আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।এতে এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন। তার হাতের পাঁচটি আঙুল উড়ে গেছে। আহত হয়েছে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আহত দুজনকে আটক করেছে। মাদ্রাসার ওই কক্ষটি থেকে ৩ টি তাজা গ্রেনেড এবং ৫০টি হাতে তৈরি বোমা উদ্ধার বলে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। এ ছাড়া কক্ষটি থেকে বেশকিছু বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিস্ত্রিয়কারী দল নিস্ক্রিয় করার কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে আইপিএস বা ইউপিএস বিস্ফোরণের কথা বললেও বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিস্ফোরক দলের তদন্ত শেষে পুলিশ কমিশনার জানান, বিস্ফোরক দ্রব্যের কারণেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ কমিশনার আরও জানান, আগামী ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে সফর করবেন।এর আগে মাদ্রাসায় এ ধরণের বিস্ফোরক পাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক। আহত শিক্ষার্থীরা হলো হাবিবুর রহমান, আবদুল করিম, আবদুল মান্নান, আমান উল্লাহ ও জব্বার।আহত ছাত্রদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসার দারুল এবতা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।এতে এক ছাত্রের হাতের পাঁচ আঙুল উড়ে গেছে ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।এ ছাড়া ওই কক্ষের জানালার গ্রিল উড়ে গেছে ও সিলিংফ্যান বাঁকা হয়ে গেছে।তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, বিস্ফোরণে ওই ছাত্রের হাতের কবজি উড়ে গেছে। ওই মাদ্রাসার ছাত্র জহিরুল ইসলামের দাবি, সকালে আইপিএস বিস্ফোরণের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী দাবি করেন, কম্পিউটারের ইউপিএস বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন লেগে যায়।এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবদুর রউফ ও উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) হারুনুর রশিদ হাজারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুরুতে আহতদের মধ্যে দুজন স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিল।পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৯:২৩ ৩৮৩ বার পঠিত