বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৩

কয়েদীর পোশাকে ফাঁসির সেলে সাকা চৌধুরী

Home Page » প্রথমপাতা » কয়েদীর পোশাকে ফাঁসির সেলে সাকা চৌধুরী
বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৩



saka-tm.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ কাশিমপুররে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মঙ্গলবার মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়ায় তার ভিআইপি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং রাতেই তাকে কয়েদীর পোশাকে ত্রিশ সেলে পাঠানো হয়েছে।কারাগারের জেলার মো. মজিবুর রহমান জানান, রায়শেষে প্রথমে আদালত থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পুলিশ প্রহরায় প্রিজনভ্যানে করে মঙ্গলবার রাত ৯ টার সময় আবার কাশিমপুরে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করতে সোমবার তাকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

কাশিমপুর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের এবং জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনসহ ৭৮জন ফাঁসির আসামি রয়েছেন।

ফাঁসির রায়ের আগে সাকা এ কারাগারেই চিত্রা ভবনে ভিআইপি মর্যাদায় ছিলেন। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরীকে এ কারাগারে পাঠানো হয়।

কারা নিয়মানুযায়ী তার ভিআইপি সুবিধা রহিত করা হয়েছে বলে জানান জলোর।

মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির রায় এসেছে রাউজানে কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা, এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামীলীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুনের দায়ে।

হত্যা, গণহত্যার পরিকল্পনা সহযোগিতা এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দেশান্তরে বাধ্য করার মতো তিনটি অভিযোগে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির ওই সদস্যকে ২০বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া অপহরণ ও নির্যাতনের দুইটি ঘটনায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর মঙ্গলবার ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। ১৭২ পৃষ্ঠার ওই রায়ের সার সংক্ষেপে বলা হয়, সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে এ মামলায় প্রসিকিউশন যে ২৩ টি অভিযোগ এনেছে, তার মধ্যে নয়টি (২ থেকে ৮, ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগ) সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে। ১, ১০, ১১, ১২,১৪,১৯,২০ ও ২৩ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমান করতে পারে নি।

আর প্রসিকিউশন শুনানির সময় কোন সাক্ষী হাজির করতে না পারায় ৯, ১৩, ১৫,১৬,২১ ও ২২নম্বর অভিযোগের বিষয়ে রায়ে কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি।

২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর গত বছরের ৪ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের ৬টি রায়ে জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান ছয় নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

২০১০ সালের ২৬ জুলাই তার (সাকা’র) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। গাড়ি পুড়িয়ে যাত্রী হত্যার এক মামলায় ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর এ সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১৯ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০:১৩:৫৯   ৪৯২ বার পঠিত