সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩
চার ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমঝোতা
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » চার ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমঝোতাবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের সঙ্গে সংশোধিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করল বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মোতাবেক সোমবার এই চুক্তি সই হযেছে। চুক্তি সই করে ব্যাংকগুলোর পক্ষে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বঙ্গ-নিউজকে জানান, আইএমএফ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনরায় সমঝোতা স্বাক্ষরের একটি চাপ ছিলো। আমরা সে মোতাবেক আবার চুক্তি সই করলাম। আমরা চুক্তিপত্র হাতে পেয়েছি।
সূত্র বলছে, নতুন চুক্তি মোতাবেক রাষ্ট্রমালিকানার সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংককে নতুন কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগের চুক্তিগুলোতে সংখ্যার দিকগুলো গুরুত্ব দেওয়া হতো, যেমন: খেলাপি ঋণ কমানো, লোকসানি শাখা কমানো এসব শর্ত থাকত। কিন্তু পুনচুক্তিতে গুণগত মানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র বলছে, নতুন শর্ত মোকাবেলা রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে তার ঋণ নীতিমালা হালনাগাদ ও যথাযথ পরিপালনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া তার মানব সম্পদ ব্যবস্থা জোড়দারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। একইভাবে তারল্য ব্যবস্থাপনা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকির কৌশল নিয়েও শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, শর্ত মোতাবেক ব্যাংকগুলোকে সময় বেঁধে দেওয়া হবে এসব পরিপালন করতে। এজন্য তারা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে সময় পাবে। এর মধ্যে এসব নিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডায়াগনস্টিক প্রতিবেদন আমলে নিয়েএ এমওইউ সই করা হলো। বছরের বাকি সময়ের জন্য যা প্রযোজ্য হবে।
সূত্র জানায়, গত সপ্তাহের রোববার থেকে আইএমএফ মিশন চিফ রডরিগোর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করছে। তারা আগামী দুই সপ্তাহ ঢাকায় থাকবেন। তাই তাদের ঢাকা উপস্থিত কালে চুক্তি হলো। আর চুক্তির শর্তেই আইএমএফ তাদের বর্ধিত ঋণ সুবিধার তহবিল ছাড় করবে আগামী মাসে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে প্রতি বছরই এমওইউ সই করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গেও অর্থবছর হিসাবে এমওইউ করা হয়। এর সঙ্গে এবারই প্রথমবারের চুক্তি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক লিমিটেড এর সঙ্গে।
জানা যায়, এবারই প্রথম দ্বিতীয় বারের মতো চুক্তি করতে হলো। এর আগে এমনটি আর করতে হয়নি। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে চার ব্যাংকের ডায়াগনস্টিক প্রতিবেদন তৈরি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিবেদনে সোনালী ও জনতা ব্যাংকের পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক এবং অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের পরিস্থিতিকে কনসিডারেবল বা বিবেচনাযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যদিও বর্তমান সময়ে পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫০:০৬ ৪০৯ বার পঠিত