সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩
Home Page » জাতীয় »
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজা আশা করছেন একাত্তরে নির্যাত সালাউদ্দিন কাদেরের রায় মঙ্গলবার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার রায়ের দিন ঠিক করার পর এই প্রতিক্রিয়া জানান তারা, এর মধ্যে চট্টগ্রামের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদাতারাও রয়েছেন ।
হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মামলায় মঙ্গলবার রায় হবে।
একাত্তরে হত্যাকাণ্ডের শিকার নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ মনে করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সালাউদ্দিন কাদের ‘রাজাকার’ হিসেবে চিহ্নিত হলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে।
সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে রাউজান উপজেলায় কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল রঞ্জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রফুল্ল সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এত দীর্ঘ সময় পর যে রায় হচ্ছে, এটাই স্বস্তির। আমি আমার বাবার হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
প্রফুল্লের মতোই ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের সাক্ষী সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিচারের রায় আইনানুসারে হবে।
“তবে এই বিচারের উদ্দেশ্যে ছিল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজাকারদের চিহ্নিত করা এবং রাজাকারদের লক্ষ্য করে বলতে পারা ‘তুই রাজাকার’। আশা করি-এবার সেটা পারব।”
নিজাম উদ্দিন বলেন, “১৯৭১ সালের ভূমিকার পরও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দীর্ঘ ৪২ বছর বাহাদুরি করেছেন। এবার আদালতের রায়ে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হলে তার অহঙ্কারের অবসান হবে। এটাই রায় নিয়ে আমার প্রত্যাশা।”
সালাউদ্দিন কাদেরের সর্বোচ্চ শাস্তিই চান চট্টগ্রাম নগরীর গুডস হিলে ১৯৭১ সালে নির্যাতনের শিকার ও ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী ম. সলিমুল্লাহ।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নগরীর চন্দনপুরা এলাকায় সালাউদ্দিন কাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় মুক্তিযোদ্ধাদের চার সদস্যের একটি দল।
এই দলের নেতৃত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “১৯৭১ সালে সে সর্বজনস্বীকৃত হত্যাকারী ছিল। সর্বোচ্চ শাস্তিই তার প্রাপ্য ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৭:২১ ৪৭০ বার পঠিত