রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩
ভ্রাম্যমাণ অভিযানের প্রতিবাদে ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
Home Page » প্রথমপাতা » ভ্রাম্যমাণ অভিযানের প্রতিবাদে ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৮টি ওষুধের দোকান সিলগালা করে দেয়ার প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মিডফোর্ট ও বাবুবাজরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
দেশে পাইকারি ওষুধের সবচেয়ে বড় এই বাজার রোববার সকাল থেকে বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও ক্রেতারা।
মিডফোর্ট ও বাবুবাজার এলাকায় প্রায় ১৫টি ওষুধের মার্কেট আড়াই হাজারের বেশি দোকান রয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ও অবৈধ ওষুধ জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৮টি ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি এক কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ব্যবসায়ীদের।
মিটফোর্ড ও বাবু বাজারের সমিতি মার্কেট, ইউসুফ মার্কেট, আলী মার্কেট, নায়না মার্কেট, খান মার্কেট, নুরপুর মার্কেট, ঢাকা মার্কেট ও সুরেশ্বর মার্কেটে র্যাবের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানের সময় মোট ১০৩ জনকে আটক করা হয় বলে র্যাব-১০ এর মেজর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান।
ওই অভিযানের প্রতিবাদে সকাল থেকে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমে আসেন মিডফোর্ট ও বাবুবাজার এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ীরা। তারা বাবুবাজার ওভারব্রিজের নিচে বিক্ষোভ করে পরে রাস্তার পাশে সমাবেশ শুরু করেন।
বাবু বাজারের নায়না মার্কেটের ওষুধের দোকানী সহদেব বর্মন বলেন, “র্যাব অবৈধভাবে অভিযান চালিয়ে গণহারে সবাইকে সাজা দিয়েছে ও জরিমানা করেছে। আমাদের একটি সমিতি থাকলেও এ অভিযান ঠেকাতে তারা কোনো ভূমিকাই নেয়নি।”
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির উপ সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, “দোকানদারদের মনে ক্ষোভ থাকতেই পারে। আমরা ওই সময় কোনো ভূমিকা রাখতে পারিনি। ওই সময় সমিতির কার্যালয় বাইরে থেকে আটকে রাখা হয়। র্যাব আমাদের কাউকে বের হতে দেয়নি।”
দোকান মালিকদের এই আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন আমরা কিছু বলব না। পরে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।”
কতোয়ালী থানার ওসি শাহ আলম ডটকমকে বলেন, “দোকানদাররা বিক্ষোভ করে এখন মিটিং করছেন। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শনিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া র্যাব-১০ এর মেজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসন বলেন, “তাদের অপরাধ গুরুতর। আমরা ১০টির বেশি দোকান পেয়েছি যেখানে বেশিরভাগ ওষুধই ছিল ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বা বিনামূল্যে বিতরণের ওষুধ। আবার অনেক দোকানে আমদানি নিষিদ্ধ ও ভেজাল ওষুধও বিক্রি করছিল। এভাবে চলতে দেয়া যায় না।
মেজিস্ট্রেট জানান, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ওই এলাকার তিনটি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সে সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ও অবৈধ ওষুধ বিক্রির দায়ের দুই ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং ১০টি দোকান সিলগালা করা হয়।
তারপর থেকেই ওই মার্কেটগুলোতে নজর রাখা হয়েছে জানিয়ে শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, অনিয়মের তথ্য পেয়েই তারা শনিবার অভিযান চালিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৫:৩৪ ৪২০ বার পঠিত