বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩
জনতা ব্যাংকে ৪ পদে ৭ ডিএমডি!
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » জনতা ব্যাংকে ৪ পদে ৭ ডিএমডি!বঙ্গ-নিউজ ডটকম : সরকারের জনবল কাঠামো মানছে না রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। অনুমোদনের বাইরে ৩ উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) নিয়োগ দিয়েছে রাজনৈতিকভাবে আসা পরিচালনা পর্ষদ। সূত্র জানিয়েছে, ৪ পদের বিপরীতে ৭ জন ডিএমডি রয়েছেন ব্যাংকটিতে। তাদের মধ্যে দুইজন সরাসরি ডিএমডি পদে। অন্যজন ডিএমডি পদমর্যাদায় রয়েছে। অনুমোদনের বাইরে ৩ ডিএমডিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনতা ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বঙ্গনিউজকে জানান, আমাদের জনবল কাঠামোতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ৪ জন উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ রয়েছে। ব্যাংকটির স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে ৪ পদে ৪ জন ডিএমডি দায়িত্বও পালন করছেন। কিন্তু এর বাইরে চুক্তিভিত্তিক ৩ জনকে একই পদে নিয়োগ দিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। কৌশল করে তাদের পদায়ন করা হয়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালক ও পরামর্শক হিসেবে। সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যাংকটির ৪ নিয়মিত ডিএমডির মধ্যে রয়েছেন একেএম আশরাফ উদ্দিন খান, ওমর ফারুক, মো. মোশাররফ হোসেন চৌধুরী এবং ইফতেখারুজ্জামান। এদের বাইরে জাহাঙ্গীর মিয়া, তপন কুমার ঘোষ এবং গোলাম সারওয়ার ডিএমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। জাহাঙ্গীর মিয়াকে জনতা ক্যাপিটাল ও ইনভেস্টমেন্টের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জনতা ব্যাংক প্রশিক্ষণ একাডেমির দায়িত্বে রয়েছেন তপন কুমার ঘোষ। তাকে দ্বিতীয়বারের মতো নিয়োগ দিয়েছে পর্ষদ। তার দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু এর কি অদৃশ্য কারণ তা জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তারা কেউ জানেন না। আর জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গোলাম সারওয়ার।
সূত্র জানায়, ডিএমডি পদের এই তিন কর্মকর্তার প্রতিজনের পেছনে মাসে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে রাষ্ট্রের। এর মধ্যে বেতন-ভাতা, গাড়ি সুবিধা, দফতরের কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা, অ্যাপায়ন বিল ও ইউটিলিটি বিল রয়েছে।
তবে জনবল কাঠামোর বাইরে চুক্তিভিত্তিক ৩ ডিএমডি নিয়োগ প্রসঙ্গে ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বঙ্গনিউজকে বলেন, বিধান হলো অনুমোদিত জনবল কাঠামোর ২০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। এতে ২০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা আছে। কিন্তু এটি মূল জনবল কাঠামোর বাইরে থাকার কথা নয়। তবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তারা ব্যাংকের স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
সূত্র জানিয়েছে, জনবল কাঠামোর বাইরে উচ্চ পদে তিন কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে সরকারি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের বাণিজ্যিক নীরিক্ষা বিভাগ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক পর্ষদ সেটিকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের মানব সম্পদ বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডিএমডি একেএম আশরাফ উদ্দিন খানের কাছে জানতে চাইলেও তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কথা বলতে চাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:০৬ ৩৮৭ বার পঠিত