শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৩
আসছে রিনিঝিনি রেশমি চুড়ির মেলা
Home Page » ফিচার » আসছে রিনিঝিনি রেশমি চুড়ির মেলাতানিয়া সুলতানা বঙ্গনিউজ ডটকম: শাড়ি আর চুড়ি। এ দুইয়ে মিলেই উৎসবের সাজ। দুই হাত ভর্তি রেশমি চুড়ি না হলে যেন অপূর্ণই থেকে যায় বৈশাখী সাজ।তা ভেবেই বৈশাখে লাল শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে টকটকে লাল চার গাছি চুড়ি কিনেছেন অনেক তরণী। তবে কেবল শাড়ির সাজেই সীমাবদ্ধ নেই এখনকার তরুণীর বৈশাখীর রিনিঝিনি সাজ। সালোয়ার-কামিজ, লেগিংস-কুর্তা, ফতুয়া-জিনস-সব পোশাকের সঙ্গেই চমৎকার মানিয়ে যাবে রিনিঝিনি কাচের চুড়ি। রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, ‘কাচের চুড়ি সাজের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কাচের চুড়ি একদিকে যেমন বলে ঐতিহ্যের কথা, অন্যদিকে হালফ্যাশনেও যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। বৈশাখে শুধু লাল-সাদা নয়; কমলা, সবুজ, হলুদ, নীল, আসমানিসহ নানা রঙের চুড়িতে সেজে উঠতে পারেন।’
মনের মতো চুড়ি খুঁজতে চলে আসতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। চারুকলার সামনে থেকে টিএসসি মোড়, কলা ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, দোয়েল চত্বরে বসেছে বাহারি চুড়ির বাজার। ফুটপাতে হাঁটতে হাঁটতেই আপনি পেয়ে যাবেন মনের মতো রঙের কাচের চুড়ি। চারুকলার সামনে হয়তো দেখা মিলে যাবে ৩০ বছর ধরে চুড়ি বিক্রি করেন যিনি, সেই হাস্যোজ্জ্বল জিয়ারুন বেগমের। শখের চুড়ি বিক্রি আজ তাঁর পেশা। এই কাচের চুড়ি নিয়ে কত না স্মৃতি জমে আছে তাঁর লাল-নীল চুড়িতে, কে জানে!
কাচের চুড়ি পাবেন ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সামনেও। এ ছাড়া নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চকেও পাবেন কাচের চুড়ি। এবারের বৈশাখী চুড়িগুলোতে যেমন লেগেছে রঙের ছোঁয়া, তেমনি নকশায়ও এসেছে বৈচিত্র্য। কচি কলাপাতা রং, আসমানি, নীল, গাঢ় নীল, জাম রং, সরষে হলুদ, পেঁয়াজ রং, কাঁচা হলুদ রঙা চুড়িগুলোর মধ্যে কোনোটি খাঁজ কাটা, কোনোটি সমতল, কোনোটি আবার ষড়ভুজ আকৃতির। চুড়ির ওপর সোনালি ও রুপালি জরি আর ছোট পাথরের ব্যবহারও দেখতে পাবেন। শুধু একরঙাই নয়, দু-তিন রঙের মিশেলেও চুড়ির দেখা মিলবে।
শাড়ির সঙ্গে দুই হাত ভর্তি চুড়িতে আপনাকে বৈশাখী সাজে বেশ মানাবে। যাঁরা কর্মক্ষেত্রে যাবেন, তাঁরাও পরতে পারেন। তবে এক হাতে চুড়ি, আর অন্য হাতে ঘড়িতে ভালো দেখাবে। এর সঙ্গে পরতে পারেন ছোট পাথরের টিপ। গাঢ় লিপস্টিক আর হালকা রঙের টিপও যোগ করতে পারেন। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হালকা রঙের অল্প কিছু চুড়ি পরতে পারেন। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নিলে আরও ভালো হয়।
কুর্তা-ফতুয়া বা ধুতি-পাজামার সঙ্গে চুড়ি পরতে হবে একেবারে হাত ভরে, যেন কবজি দেখা না যায়। বিভিন্ন রঙের মিশেলের চুড়ি পরতে পারেন। এর সঙ্গে মিলিয়ে গলায় কাঠ কিংবা বড় পুঁতির মালাও পরতে পারেন। বৈশাখী সাজের সঙ্গে দুই হাত ভর্তি চুড়ি বড় লাল টিপে সেজে উঠতে বাধা নেই। তবে চোখের কোলে কাজলটা থাকা চাই।দরদাম
কাচের চুড়ি পাবেন ডজন ২৫-৩০ টাকায়। খাঁজ কাটা চুড়ি পাবেন ৩০-৩৫ টাকায়। রেশমি চুড়ি পাবেন ২০-২৫ টাকায়। রঙিন চুড়ির সেট পাবেন ৮০-৯০ টাকায়। চুমকি ও জরির কাচের চুড়ি পাবেন ৪০-৬০ টাকায়। কাচের জয়পুরী চুড়ি পাবেন ১৫০-১৮০ টাকায়। দু-তিন রঙের মিশেল চুড়ি পাবেন ৫০-৬০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৪:৫০ ৩৯৪৭ বার পঠিত