মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বিএনপি এ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

Home Page » জাতীয় » বিএনপি এ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩



sheikh-hasina-shylhet-pm-intro.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “এ দেশে নির্বাচন হবে, বিএনপি এ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।”"নৌকা ডুববে না, নৌকা ডুবে না । নুহ নবীর সময়ে নৌকায় মানুষ চড়ে রক্ষা পেয়েছিল। ঝড় ঝাপটায় এই নৌকা জেগে থাকবে। বাংলার মানুষকেও রাজাকার, খুনী থেকে নৌকা বাচিয়েছে। নৌকাই বাঁচাবে।”

মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমী মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীদলের নেতা বলেছেন নোউকায় নাকি ফুটো হয়ে গেছে। এই নৌকা নাকি আর জাগবে না। আমি তার উত্তরে বলতে চাই, নৌকা ডোবেনা, শত বছর পরেও নৌকা জেগে ওঠে।”

হাসিনা এসময় বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, “আপনারা লক্ষ করুন, বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হয় বেলা সাড়ে নয়টায়। ওইদিন বেগম জিয়া সকাল আটটায় তার ক্যান্টন্টমেন্টের বাড়ি থেকে কালো গাড়িতে করে কোথায় গিয়েছিলেন, কেন গিয়েছিলেন? তিনি তো ১২ টার আগে ঘুম থেকেই ওঠেন না।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা বিদ্রোহী বিডিআর জোয়ানদের বিচার করেছি এবং করছি। আপনারা গিয়ে দেখুন, সেখানে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের বিনা পয়সায় আইনী সহায়তা দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা।”

এসব বিষয় লক্ষ্য করলে বোঝা যায় খালেদা জিয়া বিডিআর বিদ্রোহের সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেন হাসিনা।

খালেদাকে উদ্দেশ্য করে হাসিনা বলেন, “তিনি তো ইসলামের জন্য কেদে জারজার হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার মদদেই বায়তুল মোকারমে আগুন দেওয়া হয়েছে। পোড়ানো হয়েছে শতশত কোরআর শরীফ। তিনি ৯৬ তে ক্ষমতায় এসে বায়তুল মোকারমের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেন।”

যারা কোরআন পোড়ায়, তারা ইসলামে কিভাবে বিশ্বাস করে প্রশ্ন করে হাসিনা বলেন, “আমি বিরোধীদলের নেত্রীকে আলোচনায় ডেকেছিলাম। তিনি উলট আমাকে শাপলা চত্বরে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন। তিনি বললেন, আমি নাকি পালাবার পথ পাবোনা।”

শেখ হাসিনা পালায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়কের আমলেও আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে দেশে আসলে বিমানবন্দরে নাকি আমাকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। তারপরও আমি দেশে এসেছি।”

‘শেখ হাসিনা পালায় না’ মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, “জীবন মরণের মালিক আল্লাহ। আমি আল্লাহর কাছে ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করিনা।”

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে হাসিনা বলেন, “আপনি তো ভোট চান না, নির্বাচন চান না। তাহলে আপনি কি চান?”

বিএনপি আসলে দেশে অরাজকতা আর জঙ্গীবাদ চায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খালেদা তো দেশের কোনো খবরই রাখেন না। উনার ফজর হয় দুপুর বেলা। জানিনা উনি পত্রিকা পড়েন কিনা?”

আওয়ামী লীগের প্রচারণা ও প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়া নিয়ে বিরোধীদলের মন্তব্যের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমি তো বাংলাদেশের মানুষের কাছেই ভোট চাই, ভবিষ্যতেও চাইবো।”

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘোটে বলেও মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

তিনি বলেন, “তারা ক্ষমতায় আসলে মন্দির, গির্জা এমনকি মসজিদেও ভাংচুর হয়। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বিএনপি করে। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেনা।”

‘নির্বাচন কমিশন নাকি মেরুদণ্ডহীন’, এমন মন্তব্যের জবাবে হাসিনা বলেন, “তাহলে পাঁচ সিটি নির্বাচনে কিভাবে বিএনপি’র প্রার্থী জয়ী হয়। আসলে আপনারা ইলেকশনে জেতেন, আবার কমিশনকেও দোষ দেন।”

আওয়ামী লীগের আমলে প্রায় ৩০০০ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলেও দাবি করেন হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৩:৩০   ৫১৪ বার পঠিত