সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সন্তান হারানোর শোক বোধ হয় একেই বলে

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » সন্তান হারানোর শোক বোধ হয় একেই বলে
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩



pygaoln.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ সন্তান হারানোর শোক বোধ হয় একেই বলে। একমাত্র সন্তানের লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার খবরটি সহ্য করতে পারেননি মা নাজনিন। তাই বুঝি মুহূর্তেই বাসার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন শোকাতুর মা। এমনি বেদনাবিধুর ঘটনা ঘটেছে এক সাংবাদিক দম্পতির জীবনে।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির প্রধান প্রতিবেদক রকিবুল ইসলাম মুকুলের একমাত্র কন্যা চন্দ্রমুখী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিল। চন্দ্রমুখী তিন দিন ধরে শিশু হাসপাতালে আইসিইউতে ছিল। সোমবার রাজধানীর শিশু হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয় তার। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে জীবন প্রদীপ নিভে গেল চন্দ্রমুখীর।কন্যা চন্দ্রমুখীকে হারানোর শোকে মা জনকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনিন আখতার তন্বি কল্যাণপুরে তাদের বাসার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। নাজনীনকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

নাজনীন মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন।

তাৎক্ষনিক ভাবে সাংবাদিক অঞ্জন রায় এক ফেসবুক স্ট্যটাসে শোক প্রকাশ করেছেন, “মুকুল আর আমার মাঝে একটা পাতলা কাচের দেয়াল। ওর মেয়ে চন্দ্রমুখী, চলে গেলো আজ সবার কাছে থেকে দূরে। মুকুল কি সান্তনা দেবো? মা বাবার কোলে সন্তানের লাশ। আমি সেই শব্দ জানি না- যে শব্দে বন্ধ হতে পারে চোখের পানি, দম আটকে যাওয়া কষ্ট।”

শনিবার বাবা মুকুল তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, “এই পৃথিবীতে যাকে সবচে বেশি ভালবাসি সেই চন্দ্রমুখী এখন আইসিউ তে লাইফ সাপোর্ট এ .. ওর প্রত্যেকটা কষ্ট দিগুণ হয়ে ফিরে আসছে আমার বুকে .. আমি যে বাবা .. সবার কাছে মন থেকে দোয়া ভিক্ষা চাই আল্লাহ যেন চন্দ্রমুখী কে আমার কোলে ফিরিয়ে দেন।”
তার সেই লেখাটিতে শত শত মানুষ প্রার্থণা করছিল চন্দ্রমুখীর জন্যে। কিন্তু সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে সোমবার বিকেলে মারা যায় চন্দ্রমুখী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩০:২৬   ৬২৩ বার পঠিত