রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩
রাষ্ট্রপতিকে গণসংবর্ধনা, কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজে
Home Page » সংবাদ শিরোনাম » রাষ্ট্রপতিকে গণসংবর্ধনা, কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজেবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি আমার জীবনের অনন্য একটি স্মরণীয় ঘটনা। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং কিশোরগঞ্জের সন্তান ও এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি আপনাদের মাঝে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আনন্দঘন এই দিনে আমার স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে কলেজ জীবনের অনেক কথা।
তিনি বলেন, গুরুদয়াল কলেজ আমার প্রাণের কলেজ। এর প্রতিটি ধুলিকণার সঙ্গে রয়েছে আমার আত্মার সম্পর্ক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ কলেজে লেখাপড়ার সময় আমার জীবনে প্রত্যক্ষ রাজনীতি শুরু হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীকার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আমি তৎকালীন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও ছাত্র জনতার যে সহযোগিতা পেয়েছি তা অকল্পনীয়। আপনাদের সহযোগিতাই আমাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে।
কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অবদানের কথা স্বীকার করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সহপাঠিরা আমাকে ভালোবেসে কলেজ শাখা ছাত্র সংসদের জিএস ও ভিপি পদে নির্বাচিত করে জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছিল। আমার বর্তমান অবস্থানে আসার পেছনে তাদের অবদানও অনস্বীকার্য।
তিনি আরো বলেন, তোমরা যারা এই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছো, মনে রাখতে হবে তোমাদের ভেতর থেকেই আগামী দিনের নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। তাই নিজেদের সেভাবেই তৈরি করতে হবে। সস্তা রাজনীতিতে নিজেদের বিলিয়ে দিলে চলবে না। দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থাকতে হবে। আসলে আমরা আগামী বাংলাদেশের জন্য আলোকিত মানুষ চাই। যে মানুষ সবাইকে আলোর পথ দেখাবে।
রাষ্ট্রপতি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেন, শিক্ষিত জনশক্তি দেশের সম্পদ। আমি বাংলাদেশে এমন ব্যবহারিক শিক্ষার প্রসার চাই যার মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক দেশের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে। সদনপত্র অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, এদেশের মাটি ও মানুষের সন্তান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের নিবেদিত করা।
শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই ন্যায়, সততা ও আন্তরিকতাকে ধারণ করতে হবে। সততার কোনো বিকল্প নেই।
উপস্থিত সুধীদের উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, আমাকে সংবর্ধিত করে কলেজে আমার নামে নবনির্মিত ভবনের নামকরণ ও এ ভবনের দেওয়ালে মুরাল স্থাপন করার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সবশেষে এটুকু বলতে পারি যে আমি আমার প্রাণের কলেজের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো। কলেজের সুখে দুঃখে পাশে থাকবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ আরোজ আলী ও ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা যোহরা প্রীতি বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২২:৪৩ ৫৪৮ বার পঠিত