বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩
শিক্ষক ফোরামের অভিযোগের জবাব দিলো জাঃবিঃ প্রশাসন
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » শিক্ষক ফোরামের অভিযোগের জবাব দিলো জাঃবিঃ প্রশাসনবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ও কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক ডিনের দায়িত্ব পালন এবং উপাচার্য ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) কর্তৃক একজন প্রাধ্যক্ষকে লাঞ্ছনার বিষয়ে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার সকালে জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক কামরুল আরেফিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে উক্ত অনুষদের ডিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলে ওই অনুষদের ইভিনিং এমবিএ কোর্সের ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের প্রথম সংবিধির ৮(২) ধারা অনুযায়ী প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এম এ মতিনকে সাময়িকভাবে উক্ত অনুষদের ডিনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৮(২) অনুযায়ী প্রো-উপাচার্যকে (শিক্ষা) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সাময়িকভাবে ডিনের দায়িত্ব প্রদানের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মের ব্যঘাত ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ তারিখ থেকে ইভিনিং এমবিএ কোর্সের ভর্তি শুরু হয়েছে। জরুরি বিবেচনায় এই কোর্সের ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সাময়িকভাবে প্রো-উপাচার্যকে ডিনের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা আর নিয়মিত ডিন নিয়োগ এক কথা নয়।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়েরের বিষয়ে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন যে, অধ্যাপক আবুল খায়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ লাভের পূর্বে জীববিজ্ঞান অনুষদের নির্বাচিত ডিন ছিলেন।
কোষাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে কর্তৃপক্ষ অন্য কাউকে ডিনের দায়িত্ব প্রদান না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী তিনি ডিনের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ শ্যামল কুমার রায়কে উপাচার্য ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) কর্তৃক হয়রানি ও লাঞ্ছনার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। উপাচার্য এবং প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রাধ্যক্ষকে অপমান, হয়রানি বা লাঞ্ছিত করেননি। বরং প্রাধ্যক্ষই অসত্য অভিযোগ উত্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে উপাচার্য ও প্রো-উপাচার্যকে (প্রশাসন) অসম্মানিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে একজন প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে যতটুকু প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আশা করা হয়, ঠিক ততটুকুই কথাবার্তা হয়েছে তার সঙ্গে। এখানে অপমান কিংবা লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটার প্রশ্নই উঠে না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্য করার অভিপ্রায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ অভিযোগ করা হয়েছে, যা একজন প্রাধ্যক্ষের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে হল সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে চাইলে তা কখনোই অপমান বা লাঞ্ছিত করার ঘটনা হতে পারে না। কোনো কোনো সংবাদপত্রে উপাচার্য কর্তৃক একজন সিনিয়র শিক্ষককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। এ তথ্য সত্য নয়। উপাচার্য কোনো সিনিয়র শিক্ষক বা অন্য কাউকে কোনো প্রকার হুমকি দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহনশীল, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে ন্যায় ও যুক্তিসংগত আচরণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এম এ মতিনের বিজনেস স্টাডিস অনুষদের ডিন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়েরের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আফসার আহমদ কর্তৃক জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শ্যামল কুমার রায়কে ‘লাঞ্ছনা’র বিষয়ে সাধারণ শিক্ষক ফোরাম নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি গ্রুপ গত সোমবার প্রতিবাদ সভা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৫:৫৪ ৪২০ বার পঠিত