মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩
জাবিতে ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরামের’ প্রতিবাদ
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » জাবিতে ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরামের’ প্রতিবাদজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শ্যামল কুমার রায়কে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের হুমকি প্রদান ও একই সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এমএ মতিনকে অতিরিক্ত দায়িত্বে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরাম’।
সোমবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘সাধারণ শিক্ষক ফোরাম’ এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ‘অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তিনি প্রথমে সিরাজ সিকদারের রাজনীতি শুরু করেন। পরে জাসদ, বাসদ ও ঢাবির সাদা-নীলদলে আবির্ভূত হন। তিনি একজন স্বৈরাচারী ও দুর্বৃত্ত উপাচার্য। এই স্বৈরাচারী ও দুর্বৃত্ত উপাচার্যকে বিদায় করতে যা যা করা দরকার, তাই করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ অধ্যাদেশ উপেক্ষা করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ও এক সিনিয়র শিক্ষককে উপাচার্যের হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত ‘সাধারণ শিক্সক ফোরাম’র অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এমএ মতিনকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন পদে নিয়োগ দেয় হয়। এছাড়া অনেক আগে থেকেই কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রশাসনিক পদে থাকা কোনো শিক্ষক আরেকটি পদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তারপরও প্রশাসনের পদে থাকা উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন। যা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩’ অধ্যাদেশ বিরোধী।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলী বলেন, ‘উপাচার্যের পক্ষে মাত্র ৪ থেকে ৫ জন শিক্ষক আছেন। এ জন্য তিনি আর কাউকে দায়িত্ব দিতে পারছেন না। ৭৩ অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করে তিনি ওই লোকদেরই দায়িত্ব দিচ্ছেন। এ জন্য উপাচার্যকে শেম (লজ্জা) বলা ছাড়া আর আমাদের কোনো ভাষা নেই।’
সামাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক সৈয়দ মো. কামরুল আহছান, অধ্যাপক খবির উদ্দীন, অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর, সহযোগী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু প্রমুখ।
সমাবেশে শেষে শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘শিক্ষ সচিবের অনুরোধে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তের স্বার্থে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে সাধারণ শিক্ষক ফোরাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিনের পদটি শূন্য থাকায় উপ-উপাচার্য এমএ মতিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ০:৩১:১৪ ৪৫৫ বার পঠিত