বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

হিলিতে পাইকারী বাজারে কমেছে পেয়াজের দাম

Home Page » সংবাদ শিরোনাম » হিলিতে পাইকারী বাজারে কমেছে পেয়াজের দাম
বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩



piyaz.jpgবঙ্গ-নিউজ ডট কম: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানী বৃদ্ধি পেয়েছে, পাশাপাশি টিসিবি খোলা বাজারে পেয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। এতে পাইকারী বাজারে কমে গেছে পেয়াজের দাম । সেই সাথে দাম কমেছে খুচরা বাজারেও। যে পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকায়, এখন তা  বিক্রি হচ্ছে এখন প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৪৭ টাকায়। ঈদের পর এই বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৫শ ২ মেঃ টন পেয়াজ। হঠাৎ করেই ভারত  কেন্দ্রীয় সরকার আমদানীর ক্ষেত্রে ডলার ভ্যালু দ্বিগুন বাড়িয়ে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানী। আর বেড়ে যায় পেয়াজের দাম। সাড়ে ১৯ টাকার পেয়াজ কয়েক দফায় দাম বেড়ে দাড়ায় কেজি প্রতি  ৬২ থেকে ৬৮ টাকায়। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) টেন্ডার মাধ্যমে হিলি স্থলবন্দরের আমদানী কারকদের কাছ থেকে পেয়াজ কিনে বাজারজাত করায়, কমে আসে পেয়াজের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রতি কেজি ৫২ টাকা ৯১ পয়সায় কিনে ভূর্তুকি দিয়ে তারা বিক্রি করছেন ৪৭ টাকায়। অপরদিকে বন্দরের অন্যান্য পেয়াজ আমদানীকারকেরাও পাইকারী বাজারে বিক্রি করছে প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৪৭ টাকায়। ফলে খুচরো বাজারে কমে এসেছে পেয়াজের দাম।
টিসিবি’র রংপুর আঞ্চলিক অফিসের সহকারী কার্য নির্বাহী সুজা-উদ্দৌলা সরকার জানান,  টিসিবি ইতিমধ্যেই হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কারকদের কাছ টেন্ডার মাধ্যমে ১শ মেঃ টন পেয়াজ কিনে ভূর্তুকি দিয়ে বাজারজাত করেছে। এছাড়াও গত সোমবার ( ০২.০৯.১৩) আরও ৩ শ মেঃ টন পেয়াজ কিনে বাজারজাত শুরু করেছে । এতে বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসছে।  হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) আজাহারুল ইসলাম জানান, দেশের চাহিদার সিংহভাগ পেয়াজ  আমদানী হয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আশা করি এখান থেকে পেয়াজ সরবরাহ করে বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।  তিনি বলেন, হিলিসহ পাশ্ববর্তী এলাকার পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এরপরও হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা পেয়াজ দিয়ে দেশের বাজার পেয়াজের বাজার ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আনা সম্ভব হবে।
স্থানীয় আমদানি কারক ও হিলি কাঁচামাল আমদানি কারক গ্রুপের আহবায়ক হারুন-উর-রশিদ হারুন জানান, পেয়াজের উর্দ্ধমূখী বাজার নিয়ন্ত্রনে আনতে টিসিবিকে আমি  গত সোমবার পর্যন্ত ৪ শ মেঃ টন পেয়াজ টেন্ডার মাধ্যমে টিসিবি সরবরাহ করেছি। এতে উর্দ্ধমূখী বাজার নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই পেয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মাজেদুল হক জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১২ আগষ্ট থেকে ০২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেয়াজ আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৫শ ২ মেঃ টন। এছাড়া চাহিদার কারনে গত ২৪ আগষ্ট থেকে ১০ দিনে  ১ হাজার ৪শ ৯১ মেঃ টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। টিসিবি আমদানি কারকদের কাছ থেকে টেন্ডারে পেয়াজ কিনে বাজারজাত করছেন। তারা যদি এই ধারা অব্যাহত রাখেন তাহলেই পেয়াজ ক্রেতাদের হাতের নাগালে চলে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৮:৫১   ১৯২৩ বার পঠিত