সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৩
“সংসদ কবে ভাঙবে এই এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপরে” : সুরঞ্জিত
Home Page » জাতীয় » “সংসদ কবে ভাঙবে এই এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপরে” : সুরঞ্জিতবঙ্গ-নিউজ ডটকম: সংবিধান মোতাবেক বর্তামান ৯ম জাতীয় সংসদ কবে নাগাদ ভাঙবে তা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষেদের সদস্য ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, “সংসদ কবে ভাঙবে সংবিধানে এই এখতিয়ার দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপরে। ১২৩ এর (ক) ও (খ) এর মধ্যে কোন ধারা তিনি বেছে নেবেন সেটা তার সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে। তিনি চাইলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার জন্যে রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান করতে পারনে। আবার তিনি চাইলে সংসদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরেও সংসদ ভেঙে দেবার আহ্বান জানাতে পারেন। সংসদ নেতা হিসেবে তিনিই এই সিদ্ধান্ত নেবেন।”
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১২৩ এর ক ও খ ধারাতে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে, মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে।’ একই অনুচ্ছেদের ৩(খ)তে বলা হয়েছে, ‘মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে ।’
সুরঞ্জিত সেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে বর্তমান সংসদের মেয়াদ অক্টোবরে শেষ হবে নাকি জানুয়ারিতে শেষ হবে।”
বিএনপির স্থায়ি কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কোন চালাকি নয়। সংবিধান অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন কি করবেন না সেটা তার সিদ্ধান্ত। আমরা কোনো চালাকি করি না । এটা বিএনপির অভ্যেস। মওদুদ সাহেব জজদের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। কিন্তু আমরা কোনো তুচ্ছ কারণে সংবিধান সংশোধন করিনি।”
গণমাধ্যকে সংবাদ প্রকাশে বস্তুনিষ্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “বর্তমানে গণমাধ্যমগুলো সত্য সংবাদের চেয়ে মিথ্যা সংবাদটাকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে। এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
এসময় গণমাধ্যমকে সত্য সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “গণমাধ্যম রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। সরকারি দলও গণমাধ্যমের সাহায্যে জনগণের কাছে যায়। বিরোধী দলও জনগণের কাছে যায় গণমাধ্যমের সাহায্যে।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, জাসদ নেতা মীর আক্তার হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়াসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২১:৫৩ ৪০৮ বার পঠিত