রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

খাদ্যশস্য বিতরণে দরিদ্র দেশগুলোকে প্রাধান্য দিন : পুতিন

Home Page » জাতীয় » খাদ্যশস্য বিতরণে দরিদ্র দেশগুলোকে প্রাধান্য দিন : পুতিন
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২



ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজ : দরিদ্র দেশগুলোতে ইউক্রেন থেকে রপ্তানি করা খাদ্যশস্যের সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার তিনি জাতিসংঘের প্রতি এ আহ্বান জানান। খবর ইয়ানিসাফাক।
পুতিন বলেন, এ পর্যন্ত চুক্তির অধীনে খাদ্যভর্তি ৮০টি জাহাজ ইউক্রেন বন্দর ছেড়ে গেছে। এরমধ্যে মাত্র দুটি জাহাজ দরিদ্র দেশগুলোতে গেছে। দেশ দুটি হচ্ছে ইয়েমেন ও জিবুতি। যা রপ্তানি করা ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্যের মাত্র তিন শতাংশ।

তিনি বলেন, শস্য পরিবহনকারী ৮০টি জাহাজের ৩২টি তুরস্কে গেছে। এই প্রক্রিয়ার একটি সংগঠক দেশ হিসেবে তুরস্কের এ অধিকার রয়েছে বলেই আমি মনে করি। বাকি জাহাজগুলোর মধ্যে ৩০টি ইউরোপীয় ইউনিয়নে, তিনটি দক্ষিণ আফ্রিকায়, তিনটি ইসরায়েলে এবং সাতটি মিশরে পাঠানো হয়েছে।

পুতিন উল্লেখ করেন, কোন দেশে শস্য বিতরণ করা হবে বা পৌঁছানো হবে, সে বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো কিছু নির্ধারণ করা ঠিক হবে না। তবে মস্কো মনে করে দরিদ্র দেশগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াই ঠিক হবে।

এ সময় তিনি জানান, গত মে থেকে আগস্ট সময়ের মধ্যে রাশিয়া বিশ্ববাজারে ৬৬ লাখ টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে ৬৩ লাখ টন এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ বছরের শেষ নাগাদ আরও তিন কোটি টন খাদ্যশস্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা আছে। তবে এ বছর ফসল ভালো হওয়ায় পাঁচ কোটি টনেও পৌঁছতে পারে। অন্যদিকে এ বছরের এ পর্যন্ত রাশিয়া ৭০ লাখ টন সার রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৩০ লাখ টন এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় সরবরাহ করা হয়েছে।

পুতিন রাশিয়ান সার রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ইইউ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে শুধুমাত্র ইউরোপীয় দেশগুলোতে সরবরাহ সীমাবদ্ধ করে দেওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় রাশিয়ার অংশীদারদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ সময় তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়েক হাজার টন রাশিয়ান সার ইউরোপীয় বন্দরে আটকে রয়েছে। অথচ উন্নয়নশীল দেশের মতো স্থানে যেখানে সারের বেশি প্রয়োজন সেখানে আমরা বিনামূল্যেও সার দিতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৭:২৯   ২৬৪ বার পঠিত   #  #  #