রবিবার, ৭ আগস্ট ২০২২

মধ্যনগরে ইউপি সদস্যকে ফাঁসাতে শিক্ষকের অপচেষ্টা

Home Page » সারাদেশ » মধ্যনগরে ইউপি সদস্যকে ফাঁসাতে শিক্ষকের অপচেষ্টা
রবিবার, ৭ আগস্ট ২০২২



ফাইল ছবিস্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজ:সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এখলাছ মিয়াকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক নাম সর্বস্ব বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আব্দুল জলিল এমন অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জলিল স্বপ্রণোদিত হয়ে অন্যের নাম ব্যবহার করে ইউপি সদস্য এখলাছ মিয়ার বিরুদ্ধে গত সোমবার মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।

লিখিত অভিযোগে দেখা যায়, পনারকুড়ি গ্রামের জামাল বাদশা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জামালের বাবা আব্দুল হালিম ও তার চাচাতো বোন রাবেয়া খাতুনসহ কয়েকজনের কাছ থেকে আশ্রয়ণের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু জামাল বাদশা নিজেই অভিযোগের ব্যাপারে কিছুই জানেন না এবং জামাল বাদশা অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেননি বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, মধ্যনগরে স্বপ্না স্টুডিওতে গিয়ে জলিল মানিক নামের একজনকে তার নাম লিখে দেওয়ার কথা বলে। মানিক তার (জামাল) স্বাক্ষর করে।

মানিক মিয়া বলেন, ‘জলিলের কথায় আমি স্বাক্ষর করেছি। এটি আমি যে কোনো জায়গায় বলতে পারবো।’ অভিযোগপত্রের ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন জানিয়েছেন, তিনিও অভিযোগের ব্যাপারে জানেন না এবং তিনি এখলাছকে টাকা দেননি।’

কিন্তু জলিল প্রচার করে বেড়াচ্ছে এখলাছ পনারকুড়ি গ্রামের ঘর জামাই লিটনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। যার রেকর্ড তার কাছে রয়েছে। তবে সরেজমিন লিটনের শশুর বাড়ি গেলে লিটনের শশুর, শাশুড়ি ও স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, জলিলের অভিযোগ মিথ্যা। লিটন এখলাছ মেম্বারেকে কোনো টাকা দেয়নি। জলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, জলিল এখলাছের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের বক্তব্য দেওয়ার জন্য একই গ্রামের শুক্কুর আলীকে লোক মারফত বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ ও মারধরের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

শুক্কুর আলী বলেন, ‘আমি মাছ ধরে সংসার চালাই। আমার লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এখলাছ মেম্বারে বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য জলিল বিভিন্নভাবে লোক মারফত আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে জামাল বাদশার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল হালিম বলেন, আমার মেয়ের ঘরের জন্য নিজ থেকে মেম্বারকে টাকা দিয়েছি। তবে মেম্বার আমার কাছে টাকা চায়নি।

কিন্তু ইউপি সদস্য এখলাছ মিয়া এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জলিল আব্দুল হালিমের ছেলেকে জলমহালে ব্যবসায়ীক অংশীদার বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে কথা বলিয়ে তা ফেসবুকে ছড়িয়েছে। বছরখানেক আগে জলিলের বড় ভাই দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছিলাম। বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেই থেকে জলিল ও তার পরিবার আমার পিছু লেগে আছে। জলিল তার নিজের লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

এদিকে আব্দুল জলিল মানিককে দিয়ে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করানোর কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেছেন।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বাংলাদেশ সময়: ৮:৫৮:০১   ৬৮১ বার পঠিত   #  #