মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৩
আমাদের আছে সুষ্ঠু নির্বাচন করার শক্তি , ওদের নেই: প্রধানমন্ত্রী
Home Page » প্রথমপাতা » আমাদের আছে সুষ্ঠু নির্বাচন করার শক্তি , ওদের নেই: প্রধানমন্ত্রীবঙ্গ-নিউজ ডটকম:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো শক্তি ও সাহস আমাদের আছে। ওদের নেই।’ তিনি বলেন, সারা দেশে পাঁচ হাজার ৭৫৩টি নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তা প্রমাণিত হয়েছে। বিরোধী দলের প্রতি অভিযোগ ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের সময়ে নির্বাচনে শত শত মানুষ মারা গেছে। আজ সোমবার গণভবনে জেলা পরিষদের প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, ‘অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমাদের দেশেও সেভাবে হবে। আগামী দিনে নির্বাচন যাতে অবাধ হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) শক্তিশালী করা হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। এ ছাড়া ছবিসহ ভোটার তালিকা তো আছেই।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপি এখন আবার বলছে, তারা আমার অধীনে, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। আমার প্রশ্ন, দেশের মানুষকে আর কত কষ্ট দেবেন! নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই।’
বিরোধী দলের নেতার ভিন্নভাবে দেশ চালানোর ঘোষণার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী দিনে আমাদের পরিকল্পনা আপনাদের বলা দরকার, তাই বলছি। বিরোধীদলীয় নেতার মতো বলব না ভিন্নভাবে দেশ চালাব।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তিনি ভিন্নভাবে দেশ চালানোর নামে দেশকে দুর্নীতির আখড়া বানাবেন। নতুন হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতি করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মরি নাই। এখন আবার ভিন্নভাবে গ্রেনেড হামলা করবেন। এটাই তাদের ইচ্ছা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না।’ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে তাঁর সরকার ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রে হয়তো বাজেটের পরিকল্পনা ও মনিটরিং থাকবে; বাকি সব স্থানীয় সরকারের হাতে দেওয়া হবে। অর্থাত্, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ক্ষমতার এ বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমরা হিসাব করেছি কোন কোন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেখানে আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারিভাবেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে।’
এ সময় জেলা পরিষদের প্রশাসকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৭:১৩ ৪০৮ বার পঠিত