মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
ফারজানা রহমানের জীবনী ও গ্রন্থ
Home Page » সাহিত্য » ফারজানা রহমানের জীবনী ও গ্রন্থফারজানা রহমান ১৯৭৩ সালের ১২ই জানুয়ারি খুলনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যাবসায়ী বাবা বজলুর রহমান এবং খুলনা বেতারের সংগীত শিল্পী মা সাহিনা রহমানের প্রথম সন্তান তিনি। পরিবার ও বন্ধুদের মাঝে সেতু নামে পরিচিত। ১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আকতার মাহমুদের সাথে। অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তাদের দুই সন্তান, বড় কন্যা ফারহিন মাহমুদ ও ছোট কন্যা ফারজিন মাহমুদ। তার ছোট ভাই সাব্বির ফয়সাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং ছোট বোন ফারহানা রহমান ডাক্তার।
শিক্ষা ও কর্মজীবন :
ফারজানা রহমান ১৯৮৯ সালে খুলনা করোনেশন স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৯১ সালে খুলনা সুন্দরবন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৯৬ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনা বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে চতুর্থ স্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং পরবর্তীতে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয় থেকে এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাবসায় প্রশাসনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে স্নাতক পাশ করার সাথে সাথে বিশ্বব্যাংকের একটা প্রজেক্টে GIS (Geographic Information System) Assistant হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে শেলটেকের তত্তাবধানে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাষ্টার প্লান প্রজেক্টে অল্প কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানীতে গ্রামীনফোনে যোগদান করেন এবং ২১ বছর কাজ করেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।
২০১০ সালে ছোট কন্যা হবার আগে, তিনি তার অফিস গ্রামীনফোনকে নারী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর উদাহরণ টেনে কতগুলো যুক্তি দাঁড় করিয়ে বোঝাতে সক্ষম হন যে, বাঙালি নারীরাও এই সুযোগটা গ্রহণ করতে পারে। তার যুক্তি পরামর্শ, সব বিচার বিশ্লেষণ করে কর্তৃপক্ষ ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করে। তারপর বাংলাদেশের সংসদে ব্যাপারটা নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন হলে মাতৃত্বকালীন সরকারি ছুটি হিসেবে ছয় মাস কার্যকরী করা হয়। যেটা বর্তমানে চাকরিজীবী নারীরা পাচ্ছে।
নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনা জাগিয়ে তুলতে Save the Earth এর ধারনা (concept) থেকে প্রকাশ করেন ‘তুতি ও ফুলগাছ’ (২০১৮), ‘তুতির পার্কে ভ্রমণ’ (২০১৯), ‘তুতি ও তার বন্ধুরা : এসো শিখি নিরাপদ সড়কের নিয়মকানুন’ (২০২০) , ‘তুতি ও তার বন্ধুরা : আমরাই আনবো পরিবর্তন’ (২০২০), তুতি ও তার বন্ধুরা : আমাদের বাগান (২০২১)। এবার প্রকাশিত হল ‘তুতি ও তার বন্ধুরা : ব্যবহার বার বার আনন্দ সবার (২০২২)।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৫:০৫ ৩৫২ বার পঠিত #কর্মজীবন #জীবনী #জীবনী ও গ্রন্থ #নতুন বই #বিখ্যাত ব্যক্তি