মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

বাঁকা-কথা - আলাউদ্দিন গাজী

Home Page » সাহিত্য » বাঁকা-কথা - আলাউদ্দিন গাজী
মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২



 ফাইল ছবি

আমাদের গ্রামের বাড়ীর রান্নাঘরের চাল

টিনের, বাঁশের খুঁটির পর। সকলের হাতের
ছোঁয়ায় ঐ বাঁশ এমন চক্ চকে যে শানবাঁধানো
ঘাট কিংবা মর্মর পাথরের মেঝের মত পিচ্ছিল
ও তৈলাক্ত হয়েছে।দেখলে মনে হয় না ওঠা
একটা বংশ-দন্ড।
আজ কালের বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনলে ঠিক
এমনটি প্রতিয়মান হয় শ্রোতার কানে শেষে
হৃদয়ে। মেকি কথাটা বা শব্দটি কিতাবে পড়েছি
এখন বাস্তবে দেখতে ও শুনতে পাচ্ছি।
কেউ কেউ এটাকে খারাপ অর্থে ব্যবহার করে।
বলে cheat — চিটার। ইংরেজিতে cheater নেই।
Cheat বললেই সবাই বোঝে।বাঙালিরা বেশি
বোঝে তাই ter যোগকরে চিটার বানিয়ে ফেলেছে।
বাঙালিরা বানাতে ওস্তাদ ( আবিষ্কারে নয়)।
তাই বাংলায় এলে যা হবার তাই হয়।
‘চক্ চক্ করলে সোনা হয় না ‘। ছোটবেলায়
বড়দের কাছে শুনেছি পরে কিতাবে পড়েছি।
কিন্তু আজকাল সমাজে চক্ চকের ছড়াছড়ি
কদরও বেশি।একজন অন্যজনকে দেখলে বলে,
আদাব বা সালাম। হাত কেউ কপালে ঠেকায়,
কেউ বুক পর্যন্ত তোলে। আর এটাই নিয়ম।এটাই
সমাজের রীতিরেওয়াজ। কিন্তু কেউ কি খেয়াল
করেছেন চক্ চকে সামনে পড়লে আপনা থেকে
সালাম বের হয়ে আসে। হাতখানা কপাল পর্যন্ত
উঠে যায়। এটাকে কি বলবেন, দূর্বলতা ? নাকি
সন্মান দেখানো ? নাকি তৈল মর্দনের প্রথম সোপান।
—– বাঁকা-কথার আজ এখানেই ইতি। আগামীতে
আরো বেঁকে বেঁকে কথা হবে।এই যেমন বাঁকা চাহনি। নাহ্ থাক। তাকে তুলে রাখলাম।পরে পেড়ে দেখবো লিখবোক্ষণ।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৬:১৫   ১০১৩ বার পঠিত