বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার খায়রুজ্জামান !
Home Page » জাতীয় » মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার খায়রুজ্জামান !বঙ্গ-নিউজ: মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশের অনুরোধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদ্দিন। দেশটির সংবাদপত্র দ্য স্টার এ খবর প্রকাশ করেছে। এদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে ফেরত আনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদ্দিনের বরাত দিয়ে দ্য স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই রাষ্ট্রদূতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এম খায়রুজ্জামানকে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
এদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আজ বৃহস্পতিবার, দুপুরে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম খায়রুজ্জামানকে, যিনি মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, ডিপোটেশন সেন্টারে খায়রুজ্জামানকে কারাঅন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। যতদূর আমি বুঝতে পারছি— তাকে আবারো সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মামলাটির বিষয় খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। সেটা অবশ্য ভালো বলতে পারবে আইন মন্ত্রণালয়। তবে যতটা দ্রুত সম্ভব, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা।
এর আগে গতকাল বুধবার, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম খায়রুজ্জামান। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। এ ছাড়া মিশর, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
জানা যায়, এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে এবং দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি দেশে না ফিরে সেখানেই শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনার পর খায়রুজ্জামানকে সেনাবাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর মিশর ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ২০০৩ সালে আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান এম খায়রুজ্জামান। এরপর ২০০৫ সালে তাকে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১২:৫৭ ৩৩৫ বার পঠিত #খায়রুজ্জামান #গ্রেফতার #জেলহত্যা