বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৩
মানবদেহের ভূমিকম্প!
Home Page » বিবিধ » মানবদেহের ভূমিকম্প!বর্তমানে আমাদের জীবনধারায় পশ্চিমা ধাঁচে পরিবর্তন হচ্ছে। ফাস্টফুডের সঙ্গে দ্রুততালে বাড়ছে ফ্যাট খাওয়ার প্রবণতা। কমেছে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস ও টাটকা খাবার খাওয়ার ঝোঁক। জীবনের গতি বাড়তে বাড়তে জেটগতির জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে একশ্রেণীর মানুষ। ফলে ইঁদুর-দৌড়ের জীবনে বাড়ছে টেনশন, মানসিক চাপে মন হয়ে পড়ছে ক্ষত-বিক্ষত। হৃদরোগ বেড়ে চলছে এভাবে। অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে চলছে ধূমপান। এর বিপক্ষে সচেতনতা সৃষ্টি ও মোটিভেশনও যেন রুখতে পারছে না এর অগ্রযাত্রাকে। অতীতে বাঙালি ছিল কর্মমুখর, পরিশ্রম নির্ভরতায় চলছিল জীবন। জীবনযাপনের এ পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে মানুষ। গ্রামের একশ্রেণীর মানষ এখন মোটরসাইকেলে চড়েন বেশি, সাইকেলে চড়েন কম, হাঁটেন আরও কম। শহরাঞ্চলে লাফ দিয়ে বাড়ছে গাড়িচড়া, বসে বসে কাজ করা ও আয়েসী জীবনযাপনের মানসিকতা। কমছে শরীরের ব্যায়াম, বাড়ছে স্থূলতা। ব্যায়াম মানে তো হার্টরেট উঠবে ১৪০-এ আর ঘাম ঝরবে টপটপ করে। অন্যদিকে হার্ট অ্যাটাককে ভূমিকম্প হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। মানবদেহে এই ‘ভূমিকম্প’ আসতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে, কিন্তু এই ভূমিকম্প হয় কোনো পূর্বাভাস না দিয়েই। পৃথিবীর ভূমিকম্প ঠেকানো যায় না, কিন্তু মানবদেহের ‘হৃদকম্প’ বা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা যায়।
চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজন প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে ও নিয়মিত ওষুধ খেলে এর জটিলতা বহুলাংশে এড়ানো সম্ভব।
মুক্তির পথ : শুধু নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই কঠিনতর হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটাকেই বলা হচ্ছে হলিস্টিক পদ্ধতি। ওষুধ গ্রহণের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারণের পরিবর্তন ও পাশ্চাত্যের কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ এবং নিরাময় করা সম্ভব।
যাদের জন্য : যিনি উচ্চ রক্তচাপে (হাইপার টেনশন) ভুগছেন যিনি অসম্ভব মুটিয়ে গেছেন, যার হৃদরোগের দীর্ঘ পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, যার অস্বাভাবিক মাত্রায় রক্তে কোলেস্টরল বিদ্যমান। এছাড়া যিনি ডায়াবেটিসে ভুগছেন, যিনি এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারির জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত
ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৮:৫১ ৫৭৩ বার পঠিত