সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১

ফারহানা আকতার এর কলাম: নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : ৫৬

Home Page » সাহিত্য » ফারহানা আকতার এর কলাম: নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : ৫৬
সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১



 নতুন প্রজন্মের  চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ –র্পব- ৫৬

“২৭. ভারত ভাগ (উপমহাদশেরে বিভজন ) -১৯৪৭ থেকে–বর্তমান”- এ পয়েন্টিকে আমরা মূলতঃ নিন্মোক্ত কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম, যথাক্রমে : ১. ভারতে ব্রিটিশ সরকারের ‘ভাগ কর শাসন কর নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার’ , ২. ১৯৪৭-ভারত ভাগ (উপমহাদেশের বিভাজন ), ৩.বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে (১৯৪৭-১৯৭১) রাজনৈতিক প্রক্ষোপট, ৪.ভাষা আন্দোলন, ৫.১৯৫৪ সালরে নির্বাচন ও পর্রবতী ঘটনাপ্রবাহ, ৬.সামরিক শাষন ও স্বাধিকার আন্দোলন (১৯৫৮-১৯৬৯), ৭.ছয়দফা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ,৮.সত্তরের (১৯৭০) নির্বাচন, ৯. মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১০.বাংলাদশের স্বাধীনতার্ অজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অবদান, ১১.স্বাধীন বাংলাদশেরে অভ্যুদয়৷ এই পয়ন্টে বা বিষয়গুলোর মধ্যে আবার বেশীরভাগ পয়ন্টেগুলোই এই কলামের প্রথমদিকে আলোচিত হয়েছে । আলোচনার এ র্পযায়ে আমরা “বাংলাদশেরে স্বাধীনতা র্অজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অবদান” নিয়ে আলোচনা করবো ৷
১০.বাংলাদেশের স্বাধীনতার্ অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অবদান :
বাংলাদেশের স্বাধীনতা র্অজনে যে কয়জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলনে তাদের মধ্যে উল্লখেযোগ্য হছছেন : শেরে বাংলা আবুল কাশমে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের জাতীয় চার নেতা যারা র্পূব পাকস্তিানরে তথা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তান সরকাররে সৈন্য বাহনিী দ্বারা গ্রেফতারকৃত হলে তাঁর অর্বতমানে সমগ্র বাংলাদশেকে নেতৃত্ব দেন৷র্পূব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের রাজনীতিত এই মহান রাজনীতবিদিদের অবদান চিরস্মরনীয়৷এদের অবদানকে অস্বীকার করলে নিজরে অস্তত্বিকইে অস্বীকার করা হয় ৷
অপরদিকে পাকিস্তানের জন্মের পর প্রথম এক দশক ছিল অত্যন্ত ঘটনাবহুল। এই সময়রে রাজনীতিত এমন সব ঘটনা ঘটছেে যার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। হিন্দু মুসলিম এই দ্বি-জাতি তত্ত্বরে ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্ম হয় ১৯৪৭ সালরে ১৪ই আগস্ট। এই জন্ম ছিল মূলত: মুসলিম লীগের রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল। কিন্তু এর পরেই দেশটির রাজনীতিতে অভাবনীয় কিছু ঘটনা ঘটে যার একটি র্পূব পাকস্তিানের রাজনীতি র্অথাৎ কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগের একটি অংশ হাতছাড়া হয়ে যাওয়া। পাকিস্তানের জন্মের বীজ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সম্মলেনে গৃহীত লাহোর প্রস্তাবক।এই প্রস্তাবে ভারতরে উত্তর-র্পূব ও উত্তর-পশ্চিম অংশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদশেগুলো নিয়ে স্বাধীন ও র্সাবভৌম মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়।
বঙ্গীয় মুসলিম লীগের নেতা এবং ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক’ এই প্রস্তাবটি পেশ করেন। পরে এই লাহোর প্রস্তাব ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ হিসেবেে বিবেচিত হয়।
এর মাত্র ছয় বছর পর ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিভাজন আরো স্পষ্ট হয়। মুসলিম এলাকায় মুসলিম লীগের র্প্রাথী এবং হিন্দু এলাকায় কংগ্রেসের র্প্রাথীরা জয়ী হয়। মূলত : মুসলিমদরে জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতেই মুসলমানরা দলে দলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সেসময় মুসলিম লীগকে ভোট দিয়েছিল। জওহরলাল নেহেরেু ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে র্লড মাউন্ট ব্যাটনে। র্লড মউন্টব্যাটনে ১৯৪৭ সালের জুন মাসে ঘোষণা করেন যে ব্রিটিশ সরকার এই উপমহাদেশ বিভাগের নীতি মেনেন নিয়েছে এবং ১৪ই আগস্ট তারা পুরোপুরিভাবে এ উপমহাদেশের শাসনভার ছেড়ে দিলে ১৫ই আগষ্ট ‘১৯৪৭ সালের প্রথম প্রহরে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে জন্ম হয় ‘ভারত ও পাকিস্তান’ নামে দুটি রাষ্ট্রের ৷
ভারতকে মাঝখানে রেখে পাকিস্তানের ছিল দুটো অংশ- পশ্চিম ও র্পূব পাকিস্তান। জণ্মের পর থকেে একই দেশের এই দুটো অংশের মধ্যে বৈষম্য ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে।
অপরদিকে, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যখন র্পূব পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলগুলো জোট বেধে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি দলে পরিনত হয়ছিল, তখন সেই সময় ‘ হোসনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ আওয়ামী লীগের হয়েও সারা দেশ ঘুরে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। (চলবে)৷

তথ্যসূত্র : বুকস্ , ইন্টারনেট ৷

ফারহানা আকতারলেখকের নতুন বই
লেখক: ফারহানা আকতার, পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষনা ইনস্টিটিউট ৷ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, লেখক ও গবেষক ৷

বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৯:০৭   ১০৩৭ বার পঠিত   #  #  #