শনিবার, ৭ আগস্ট ২০২১

পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার নামে মাদকদ্রব্যের মামলা !!

Home Page » প্রথমপাতা » পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার নামে মাদকদ্রব্যের মামলা !!
শনিবার, ৭ আগস্ট ২০২১



ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজঃ  চিত্রনায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ শনিবার রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি করা হয়। জুনায়েদের কাছ থেকে ২২৫টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।গুলশানের বিভাগীয় উপকমিশনার আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করছে।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকা থেকে জুনায়েদ করিমকে আটক করা হয়। আজ সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।গতকাল সন্ধ্যায় নাটক ও সিনেমার নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টায় ডিবি জানায়, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ গতকাল বঙ্গনিউজকে জানান, তদন্তের প্রয়োজনে যখন ডাকা হবে, তিনি আসবেন। এই শর্তে তাঁকে ছাড়া হচ্ছে।গত ১৩ জুন চিত্রনায়িকা পরীমনি ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে যে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন, সেখানে পরীমনির সঙ্গে চয়নিকা চৌধুরীকে দেখা গিয়েছিল। আর বোট ক্লাবের ঘটনায় পরীমনির সঙ্গী ছিলেন তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার জিমি। সেই ঘটনায় পরীমনি যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকীর (অমি) বিরুদ্ধে। এই দুজনের বাসা থেকে মদ ও মাদকের ঘটনায় যে মামলা হয়, সেটার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা হলেন ডিবির এডিসি গোলাম সাকলায়েন।গতকাল দুপুরের পর ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বঙ্গনিউজকে বলেছিলেন, রিমান্ডে থাকা পরীমনিসহ চারজনকে মামলার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা যে অন্ধকার জগতে পা রাখলেন, এর পেছনে কারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে। পরীমনির অন্ধকার জগতের পৃষ্ঠপোষকদের একজন জিমি। তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আরেকজন নারী, তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।এর আগে প্রায় একই রকম অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আরও পাঁচজনকে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আটক হন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর। রোববার মধ্যরাতে আটক করা হয় ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে। তারপর মঙ্গলবার রাতে আটক হন শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তাঁর সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান। পৃথক মামলায় তাঁরা সবাই রিমান্ডে আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে করা সাতটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব গতকাল সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৭:৩১   ৬০৯ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #