সোমবার, ২ আগস্ট ২০২১
ফারহানা আকতার এর কলাম : নতুন প্রজণ্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পর্ব- ৪৪
Home Page » সাহিত্য » ফারহানা আকতার এর কলাম : নতুন প্রজণ্মের চোখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পর্ব- ৪৪২. ১৯৪৭- ভারত ভাগ (উপমহাদেশের বিভাজন ) :
ভারত-পাকস্তিান (র্পূব ও পশ্চমি পাকস্তিান) বভিাজন - ভারতরে স্বাধীনতা আন্দোলন :
১৯৪৬ সালরে নির্বাচনে হোসনে শহীদ সোহরাওর্য়াদীর (হোসনে শহীদ সোহরাওর্য়াদী ছিলনে র্পূব পাকিস্তানের নাগরিক) নেতৃত্তে বাংলাদেশে র্অথাৎ র্পূব পাকিস্তানে মুসলীম লীগরে ঐতিহাসিক বিজয় সম্ভবপর হয়েছিল এবং সোহরাওর্য়াদী ছিলেন অবভিক্ত বাংলার র্অথাৎ কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকাররে শষে প্রধানমন্ত্রী ও সংখ্যাগরষ্ঠি মুসলমি লীগ দলরে নতো ৷ এ সময় পাকিস্তানরে কন্দ্রেীয় মুসলীম লীগরে সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র স্বীকার হন হোসনে শহীদ সোহরাওর্য়াদী এবং এই সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র কারনে রাজনীতি থেকে অবসরপ্রাপ্ত পশ্চমি-পাকিস্তান মুসলীম লীগরে খাজা নাজমিউদ্দনি ১৯৪৭ সালের ৫ আগষ্ট র্পূব পাকিস্তান র্অথাৎ র্পূব বাংলার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন ৷ফলে,‘লাহোর প্রস্তাব’ এর উত্থাপক শেরে বাংলা আবুল কাশমে ফজলুল হকরে মতো ‘স্বতন্ত্র পাকস্তিান প্রস্তাব’ এর উথাপক
হোসনে শহীদ সোহরাওর্য়াদীও মুসলীম লীগরে কন্দ্রেীয় নেতৃবন্দরে কাছ থেকে চরম অবহলো ও অপমানরে স্বীকার হন৷১৯৪৭ সালরে ৩রা জুন তারইখে ব্রটিশি সরকার আনুষ্ঠানকিভাবে ভারতবাসী র্অথাৎ ভারতরে কেন্দ্রীয় সরকাররে নিকট ক্ষমতা হস্তান্তররে পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এবং এই প্রক্রিয়াটি শষে হয় ১৯৪৭ সালরে ১৫ আগষ্ট তারইখে ৷ এই তারখি হতে প্রাচীন ভারতর্বষ র্অথাৎ এ উপমাদশে বিভাজতি হয়ে ভারত এবং পাকিস্তান (র্পূব ও পশ্চমি পাকিস্তান) নামে দু’টি পৃথক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
মূলতঃ ১৯৪৭ সালর ভারতরে স্বাধীনতা আন্দোলন নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বপিরীত ধারায় সম্পন্ন হয়ছেলি। এই আন্দোলন ও ভারতরে র্সববস্তররে মানুষ এর মলিতি আন্দোলনের ফলে ব্রটিনে থেকে স্বাধীনতা লাভ করে র্অথাৎ ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের ২০০ বছর শাষন ও শোষণরে পরিসমাপ্তি ঘটে এবং এর ফলে ভারত বিভাগরে মাধ্যমে ভারত এবং পাকস্তিান নামে দু’টি পৃথক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল একটি পরিব্যাপ্ত, একত্রীভূত বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক অভিযান বা আন্দোলন যা অহিংস ও বৈপ্লবিক উভয় দর্শনের প্রচেষ্টায় এবং ভারতীয় রাজনতৈকি সংগঠনরে মাধ্যমে প্রভাব বস্তিার করছেলি। এই আন্দোলনরে মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদশেে ব্রিটিশ ঔপনেবিশিক র্কতৃত্ব এবং অন্যান্য ঔপনেবিশিক প্রশাসন শেষ হয়। র্পতুগিজের দ্বারা র্কণাটেক ঔপনবিশেকি বিস্তাররে শুরুতে ষোড়শ শতকে প্রথম প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। সপ্তদশ শতকের মধ্য ও শেষ ভাগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা উত্তর ভারতে ঔপনিবেশিক বিস্তাররে প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। অষ্টাদশ শতকরে শেষ দিকে ভারতরে জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে এই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল। তারা র্প্রাথনা, আবেদন-নিবেদন এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে এক মধ্য পন্থা অবলম্বন করছেলি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৈপ্লবকি জাতীয়তাবাদ ইন্দো-র্জামানি ষড়যন্ত্র এবং গদর ষড়যন্ত্র প্রভাব বিস্তার করছিল। যুদ্ধের শেষ প্রান্তে কংগ্রেস অহিংস আন্দোলনরে নীতিমালা অবলম্বন করেছিল এবং অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী নৃতিত্ব দিয়েছিল। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র মত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরর্বতীকালে একটি বৈপ্লবিক র্দশন অবলম্বন করে আন্দোলনে করতে এসছেলিনে।
কথিত আছে,ভারতের স্বাধীনতা লাভর পরেও ভারত অলিখিতভাবে ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০র্পযন্ত ব্রিটিশ রাজশক্তির স্বায়ত্বশাসনে ছিল। তারপর ভারত একটি প্রজাতন্ত্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে।পাকিস্তান ১৯৫৬ সালে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। তৎকালীন সময়ে অভ্যন্তরীণ অধিকার লড়াইয়ের কারনে ভারতবাসীকে একটি গৃহযুদ্ধরে সম্মুখীন হতে হয়েছিল তার ফলে গণতন্ত্ররে স্থগিতবস্থা এসেছিল।
স্বাধীনতা আন্দোলন পরিণামস্বরুপ বিশ্বের নেতৃত্বদানের অন্যান্য অংশতে একই আন্দোলনরে মাধ্যমে একটি প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল ও কমনওয়লেথ জাতরি সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভেঙে, অহিংস প্রতিরোধের গান্ধীর দর্শন মার্কনি নাগরকি অধিকার আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছেলি ও মার্টনি লুথার কিং (১৯৫৫-১৯৬৮) এর নতেৃত্ব দিয়েছিল। মায়ানমারে গণতন্ত্ররে জন্য অং সান সুচি’র মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে র্বণ-বৈষম্যরে বিরুদ্ধে আফ্রিকান জাতীয় কংগ্রসেরে লড়াই নেলসন ম্যান্ডলো’ র মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিল। উপরন্তু এই সমস্ত নতোরা অহংহিস এবং অপ্রতিরোধ্যরে মহাত্মা গান্ধীর নিয়মনষ্ঠি নীতিতে অনুগত থাকেননি।
১৯৪৭ সালরে ভারত বিভাজন বা দেশভাগ হল ব্রিটিশ ভারতকে দুটি স্বাধীন অধিরাজ্য ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত করার ঘটনা। ভারত অধিরাজ্য (র্বতমান সময়ে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র) পাকিস্তান অধিরাজ্য (র্বতমান সময়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে হিসাবে পরিচিত)। বিভাজনের ঘটনাটি জলো-ভত্তিকি অমুসলমি বা মুসলমি সংখ্যাগরষ্ঠিতার ভিত্তিতে বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশের বিভাজনের সাথে জড়িত ছিল। ভারত বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনি, রাজকীয় ভারতীয় নৌবািহনী, ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস, বলে ও কেন্দ্রীয় কোষাগারও বিভক্ত করে দেওয়া হয়। এই বিভাজনটি ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭-এ বর্ণিত হয়েছিল এবং এর ফলে ভারতে ব্রিটিশ রাজ বা ক্রাউন শাসনরে অবসান ঘটে। দুটি স্ব-শাসতি দেশ ভারত ও পাকিস্তান আইনত ১৯৪৭ সালরে ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে অস্তিত্ব লাভ করে।এই বিভাজনটি র্ধমীয় ভিত্তিতে ১ কোটি থেকে ২ কোটি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে এবং সদ্য প্রতষ্ঠিতি অধিরাজ্য দুটিতে অতিমাত্রায় শরর্ণাথী সংকট তৈরি করে।বিভাজনের অব্যবহতি র্পূবে ও পরে প্রাণহানির ঘটনা সহ বড় আকারে সহংহিসতা হয়, বর্তিক সাপেক্ষে মনে করা হয়, সহিংতায় ১ লাখ থেকে ২০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। দেশ বিভাজনে সহিংসতার প্রকৃতি ভারত ও পাকিস্তানরে মধ্যে বৈরাতি ও সন্দেহের পরিবেশ তৈরি করেছিল,যা আজ অবধি তাদের সর্ম্পকের উপর প্রভাব ফলে।ভারতের বিভাজন শব্দটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতা বা ব্রিটিশ ভারতের প্রশাসন থেকে বার্মা (র্বতমানে মিয়ানমার) ও সিলনের (র্বতমানে শ্রীলঙ্কা) বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করে না। এই শব্দটি দুটি নতুন আধিরাজ্যের মধ্যেকার দেশীয় রাজ্যসমূহের রাজনৈতিক সংহতকরণকে বা দেশীয় রাজ্য হিসাবে হায়দ্রাবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীররে সংযুক্তি বা বিভাজনের বিরীধের বিষয়টিকে ও অর্ন্তভুক্ত করে না, যদিও কিছু র্ধমীয় ধারায় দেশীয় রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছেল। এটি ১৯৪৭–১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দরে সময়কালে ফরাসি ভারতরে ছটিমহল ভারতে অর্ন্তভুক্ত করা বা ১৯৬১ সালে গোয়া ও র্পতুগজি ভারতরে অন্যান্য জলোসমূহকে ভারতরে দ্বারা অধগ্রিহণ করার বষিয়টকওে অর্ন্তভুক্ত করে না। এই অঞ্চলে ১৯৪৭ সাল রে অন্যান্য সমসাময়কি রাজনৈতিক সত্ত্বা, সিকিম রাজ্য, ভুটান রাজ্য, নপোল রাজ্য ও মালদ্বীপ বিভাজনের দ্বারা প্রভাবিত হয়না।
দেশীয় রাজ্যসমূহে প্রায়শই শাসকদরে সম্পৃক্ততা বা আত্মতুষ্টির সাথে সহিংসতা অত্যন্ত সংঘবদ্ধ ছলি। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শিখ রাজ্যে (জন্দি ও কাপুরথালা ব্যতীত) মহারাজারা মুসলমানদরে জাতগিত নির্মুলকরণে আত্মতৃপ্ত ছিলেন, যখন পাতিয়ালা ফরিদকোট ও ভরতপুররে মহারাজারা তাদের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে জড়িত ছিলেন। কথিত আছে যে, ভরতপুরের শাসক তাঁর জনগণরে জাতগিত নির্মুলকরণ প্রত্যক্ষ করেছিলেন, বিশেষত দীঘরে মতো স্থানসমূহে। ১৯০৫ সালে তাঁর দ্বিতীয় কার্যকালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন ব্রিটিশ ভারতরে বৃহত্তম প্রশাসনিক বিভাগ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে রাজনৈতিক ভাবে দ্বখণ্ডিত করনে। এই বিভাজনের ফলে গঠতি হয় মুসলমান-প্রধান র্পূববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ (অধুনা বাংলাদশে রাষ্ট্র, ভারতরে উত্তরর্পূবাঞ্চল ও পশ্চমিবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগ) এবং হিন্দু-প্রধান বঙ্গপ্রদেশ (অধুনা পশ্চমিবঙ্গ রাজ্যরে প্রেসিডেন্সি ও বর্ধমান বিভাগ, বিহার,ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্য )।
কারো কারো মতে কার্জনরে বঙ্গভঙ্গ প্রশাসনিক দিক থেকে খুবই ফলপ্রূস হয়েছিল। র্লড উইলিয়াম বন্টেঙ্কিরে সময় থেকে এই ধরনরে প্রশাসনকি সংস্কাররে কথা অনকে বার ভাবা হলেও তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। যদিও ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে এই ঘটনার ফলে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তেমনটি আগে ঘটনি।বাঙালি হিন্দু উচ্চবিত্ত গোষ্ঠী বঙ্গভঙ্গের তীব্র বিরোধিতা করনে। এঁদের অনকেরেই র্পূববঙ্গে জমিদারি ছিল এবং সেই জমিদারির প্রজারা ছিলেন মুসলমান কৃষক। বাঙালি হিন্দু মধ্যবিত্ত বা ভদ্রলোক সমাজও নবগঠতি বঙ্গপ্রদেশে বিহারি ও ওড়িয়াদরে দিয়ে বাঙালিদের সংখ্যালঘু করে দেওয়ার জন্য বঙ্গভঙ্গের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাঁরা মনে করনে,তাঁদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার জন্যই কার্জন বঙ্গভঙ্গরে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কার্জনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বদেশি আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দুই-বারের কংগ্রসে সভাপতি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আন্দোলনরে উদ্দশ্যে ছিল ব্রিটিশ দ্রব্য বয়কট। ইচ্ছাকৃতভাবে না হলেও কখনও কখনও আন্দোলনকারীরা রাজনৈতিক সহীসতার আশ্রয় নিতেন। যার ফলে সাধারণ নাগরিকরা আক্রান্ত হতেন। সহিংসতা আন্দোলন কার্যকরী হয়নি। কারণ, সেগুল ব্রিটিশরা প্রতহিত করেছিল এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেগুল র্ব্যথ হয়েছিল।উভয় ধরনের আন্দোলনের প্রধান শ্লোগান ছিল ‘বন্দমোতরম্’। এটি ছিল বঙ্কমিচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি গানের শিরোনাম। গানটি একাধারে বঙ্গজননী, ভারতমাতা ও হিন্দু দেবী কালীর উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল। কলকাতার ইংরেজি-শিক্ষিত ছাত্ররা যখন কলকাতা থেকে তাদের গ্রাম বা মফঃস্বলে যান, তখন আন্দোলন বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।‘বন্দমোতরম্’ শ্লোগানটরি র্ধমীয় উন্মাদনা ও বঙ্গভঙ্গরে বরিুদ্ধে রাজনতৈকি প্রতিবাদ যুগান্তর ইত্যাদি দলের অধীনে যুবকদরে একত্রিত করে। এঁরা সরকারি ভবনে বোমা বিস্ফোরণ,সশস্ত্র ডাকাতি ও ব্রিটিশ আধিকারিকদের হত্যা করতে শুরু করে। কলকাতা যহেতেু সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল, তাই এই রাজনৈতিক আন্দোলন ও ‘বন্দমোতরম্’ শ্লোগানটি জাতীয় স্তরে পরিচিত ও স্বীকৃত হয়।
বাঙ্গালি জাতসিত্ত্বা বা জাতীয়তাবাদের বিকাশ :
দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের ( র্পূব ও পশ্চমি পাকস্তিান) অভ্যুদ্বয় ঘটে। পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনে পূর্ব-বাংলা বা র্পূব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রে অচিরেই বাঙ্গালি নিজেকে নিপীড়িত-বঞ্চিত জনগোষ্ঠী হিসাবে বুঝতে পারে। বাঙ্গালির স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক কাঠামোতে পূর্ব বাংলা বা র্পূব পাকিস্তান কেবল অর্থনৈতিকভাবে শোষিত হয়নি, বাঙ্গালির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অধিকারও হরণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে র্অথাৎ পূর্ব বাংলা বা র্পূব পাকিস্তানরে বাঙ্গালি জণগণ ক্রমশ: তাদরে দাবী-দাওয়া আদায়রে লক্ষে একীভূত শুরু করে আর এভাবইে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। মুলতঃ যখন কোনো জনসমষ্টি ভাষা, কৃষ্টি, সভ্যতা, সাহিত্য, ধর্ম প্রভৃতির আলোকে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং নিজেদেরকে অন্য জনগোষ্ঠী থেকে পৃথক ভাবে তখন ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ বা একটি অভিন্ন জাতিসত্ত্বার সৃষ্টি হয়। জাতীয়তাবোধ থেকেই জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি। জাতীয়তাবাদ মানুষকে রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তোলে। আর এ কারণেই জাতীয়তাবাদকে রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন জনসমাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
অধ্যাপক হ্যারল্ড জে. মতে, ‘জাতীয়তবাদ হলো এক প্রকার মানসিক ঐক্যবাধের অনুভূতি যা একটি জনসমাজকে অবশিষ্ট মানবসমাজ থেকে পৃথক করে।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হায়েস (Hayes) এর মতে, ‘জাতীয়তাবাদ হচ্ছে জাতীয়তা ও দেশপ্রেম এ দুটি বিষয়ের এক আবেগপূর্ণ সমন্বয় ও রাজনীতিকীকরণ। ’
উপর্যুক্ত সংজ্ঞার আলোকে বলা যায়, যখন কোনো নির্দিষ্ট ভূ-খন্ডের জনগণ নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় জীবন গড়ে তোলার মানসিক অনুভূতি ও অনুরাগকে একত্রিত করে জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয় তখন তাকে জাতীয়তাবাদ বলে। জাতীয়তাবাদের মূলে একটি জনগোষ্ঠী বা জাতরি অভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভাস, সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, ঐতিহ্য, অর্থনৈতিক স্বার্থ প্রভৃতি mwμq উপাদান হিসাবে কাজ করে। জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মূলতঃ দু’টি বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়৷ যখা :
(ক) আত্মপরিচয় সংরক্ষণ (Protection of Identity)
(খ) আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা (Preservation of Interests)
এবং বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনও মূলতঃ এ দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।
*বাংলাদশেী জাতীয়তাবাদের বিকাশঃ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক কাঠামোতে পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকস্তিানরে জনগোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন করতে হয়েছে। রক্তাক্ত ও আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল বাঙ্গালির স্বাধিকার আন্দোলনই এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। বাঙ্গালি জাতরি জনক বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমান ও জাভীয় চার নতোর বলষ্ঠি নতেৃত্ব ও সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে আর বাঙ্গালি জাতি পায় একটি স্বাধীন-র্সাবভৌম দশে ,পৃথবিীর মানচত্রিে মাথা উঁচু করে দাড়াবার জন্য এক খন্ড ভূমি যার অধিবাসী হয়ে যায় তারা ৷ যহেতেু, বেশীরভাগ বাঙ্গালিরা আলাদাভাবে র্অথাৎ সর্ম্পূন স্বাধীনভাবে বসবাসরে জন্য “বাংলাদশে” নামে একটি দেশ পেল সেকারনে তার জাতীয়তা অ্র্থাৎ নাগরকিত্বরে দিক থেকে বাঙ্গালি জাতির আরকেটি পরিচয় যোগ হলো আর তা হলো- “বাংলাদেশী” ৷ প্রয়াত শিক্ষাবিদ, লেখক,জাতীয় ও এমিরোটস অধ্যাপক এং বালা একাডমেীর সভাপতি আনিসুজ্জামান তাঁর বায়োগ্রাফতিে বলছেনে, “আমার র্অথাৎ আমাদরে জাতিসত্ত্বা ‘বাঙ্গালি র্অথাৎ আমরা বাঙ্গালি জাতি এবং আমার র্অথাৎ আমাদের জাতিয়তা ‘বাংলাদেশী’-” ৷
সুতরাং বাঙ্গালি ও বাংলাদশেী জাতিয়তাবাদ নিয়ে আমাদের মনে আর কোনো দ্বন্দ্ব রইলো না ৷’জাতি’র অন্য একটি সংজ্ঞা হচ্ছে,এটি একটি সম্প্রদায়, যে সম্প্রদায়রে জনগণ নিজেদের স্বায়ত্তশাসন, ঐক্য ও অন্যান্য অধিকাররে ব্যাপারে সচেতন। যেমন: বাঙ্গালি জাতি,পাঞ্জব জাতি,ইংরজে জাতি ইত্যাদি অপরদিকে,‘ জাতীয়তা ‘ হচ্ছে একজন ব্যক্তরি রাষ্ট্ররে মধ্যে আইনগত সর্ম্পক বা অধিকার । যেমন: বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ বা জাতীয়তা মানে যে বাঙ্গালির বাংলাদেশের অধিবাসী বা নাগরিক , পাকিস্তানী জাতয়িতাবাদ বা জাতীয়তা মানে যে পাকিস্তানী পাকিস্তানের অধিবাসী বা নাগরিক এবং একইভাবে ভারতীয় জাতিয়তাবাদ বা জাতীয়তা মানে যে ভারতীয় ভারতরে অধিবাসী বা নাগরিক ৷ তবে এখানে উল্লখেযোগ্য একটি কথা হচ্ছে, একজন বাঙ্গালি যিনি জাতিতে বাঙ্গালি ,তিনি জাতীয়তার দিক থেকে বাংলাদেশীও হতে পারেন আবার আমেরিকানও হতে পারেন র্অথাৎ তার দুটো দেশের নাগরিকত্বের র্সাটিফিকেট রয়েছে (চলবে) ৷
তথ্যসূত্র : বুকস্ , ইন্টারনটে ৷
লেখক : ফারহানা আকতার, ডিরেক্টর এন্ড এ্যাসোসিয়েট প্রফসের, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিচার্স ইনস্টিটিউট, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৩:০৫ ৯৫১ বার পঠিত #ইতিহাস #উপমহাদেশের বিভাজন #নতুন প্রজণ্ম #মুক্তিযুদ্ধ