বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
করোনার নিয়ন্ত্রনে ‘ভলটিক’, বাংলাদেশি সাদিয়ার আবিষ্কার
Home Page » জাতীয় » করোনার নিয়ন্ত্রনে ‘ভলটিক’, বাংলাদেশি সাদিয়ার আবিষ্কারবঙ্গ-নিউজ:আবিষ্কার হলো ‘ভল্টিক’। অনেক কার্যকর একটি স্প্রে। করোনাকালের এই ঘোর অন্ধকারে যেন আলো নিয়ে হাজির হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সাদিয়া খানম। তিনি এমন এক জীবাণুনাশক আবিষ্কার করেছেন, যা কোনো বস্তুর সারফেসে স্প্রে করলে সেটা দুই সপ্তাহের জন্য জীবাণুমুক্ত থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই আবিষ্কার যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
এই পুরো প্রক্রিয়াটার নাম ‘ভলটিক’। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে গবেষণার পর সফলতার মুখ দেখেছেন সাদিয়া। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই স্প্রে’র অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, এনএইচএস।
বাজারে আগে থেকেই অনেক জীবাণুনাশক থাকার পরও সাদিয়া খানমের এই আবিষ্কারকে দুটি কারণে যুগান্তকারী হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। যে কোনো জীবাণুনাশক সাধারণত মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য কোনো স্থান বা বস্তুকে জীবাণুমুক্ত করতে পারে। কিন্তু সাদিয়ার আবিষ্কার করা ‘ভলটিক’ একনাগাড়ে ১৪ দিন পর্যন্ত জীবাণুমুক্ত রাখতে পারবে।
এছাড়া, যে কোনো জীবাণুনাশকই বিষাক্ত। কিন্তু সাদিয়া খানমের আবিষ্কার করা ‘ভলটিক’-এ ক্ষতিকর কিছু নেই। এর মাধ্যমে যাতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়, সেজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। এই স্প্রে মানুষের শরীর থেকে শুরু করে যে কোনো চামড়া, কাপড়, কাঠ এমনকি লোহার সারফেসের ওপরও সমানভাবে কার্যকর।
২৬ বছর বয়সী সাদিয়া খানম বলেন, আমি আলঝেইমার্স রোগ নিয়ে পিএইচডি করছিলাম। করোনার সংক্রমণ শুরু হলে সেই কাজটা স্থগিত রেখে মানুষের জন্য কিছুটা একটা করার কথা ভাবছিলাম। তারপর লেগে গেলাম এই স্প্রে তৈরির কাছে। আমি একাই দীর্ঘ দেড় বছর চেষ্টা করে অবশেষে ‘ভলটিক’ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি।
তরুণ এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, ব্রিটিশ সরকার বিভিন্নভাবে এই স্প্রের ট্রায়াল শেষে অনুমোদন দিয়েছে। এখন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমি মনে করি, করোনা প্রতিরোধে এটি দারুণভাবে কাজে দেবে। এছাড়া হাসপাতাল, হোটেল-রেস্তোরাঁ, গণপরিবহন, বিমানসহ বিভিন্ন খাতে এটি ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রবল।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২৭:২৩ ৬১৮ বার পঠিত #করোনা #ভলটিক #সাদিয়া #স্প্রে