সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
টিকায় ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি:গবেষণায় ঢাকা মেডিকেলের
Home Page » এক্সক্লুসিভ » টিকায় ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি:গবেষণায় ঢাকা মেডিকেলেরবঙ্গনিউজঃ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ টিকা নেওয়া ৯৩ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকেরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার ঢাকা মেডিকেলে এক অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।গবেষকেরা এক ডোজ টিকা নেওয়ার পর এবং দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর কতজনের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা দেখার চেষ্টা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩০৮ জন চিকিৎসক ও কর্মচারীকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করেন গবেষকেরা।করোনার টিকার কার্যকারিতা নিয়ে দেশে এই প্রথম কোনো গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হলো। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এই গবেষণা করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম সামসুজ্জামান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই গবেষণায় অর্থায়ন করে। দেশের মানুষের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতা দেখাই ছিল গবেষণার উদ্দেশ্য।দেশে গতকাল পর্যন্ত ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন মানুষ এই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৪৩ লাখ মানুষ। প্রথম ডোজ পাওয়া প্রায় ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে আছে।গবেষকেরা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ পর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেন। তাতে ৪১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর শরীরে অ্যান্টিবডির প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর আবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৯৩ শতাংশ টিকা গ্রহণকারীর শরীরে অ্যান্টিবডির প্রমাণ পান গবেষকেরা।অ্যান্টিনবডি হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ উপাদান। রোগে আক্রান্ত হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শরীরে আপনাআপনি এই উপাদান তৈরি হয়। আর টিকা দেওয়া হয় কৃত্রিমভাবে এই উপাদান তৈরি করার জন্য।অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বেশ কিছু দেশে গবেষণা হয়েছে। বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এই গবেষণার ফলাফল টিকার ওপর মানুষের আস্থা বাড়াবে বলে গবেষকেরা মনে করেন। অনুষ্ঠানের পর অধ্যাপক এস এম সামসুজ্জামান বঙ্গনিউজ কে বলেন, ‘এই টিকা কার্যকর, এটার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। এ ছাড়া একটি মাত্র ডোজ পেয়েছেন এমন ৪১ শতাংশের শরীরেই অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এখন যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ পাননি, তাঁদের ততটা হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’তবে কত দিন শরীরে অ্যান্টিবডি থাকবে—এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে কোনো সময়সীমা নির্দেশ করেনি। অধ্যাপক এস এম সামসুজ্জামান বলেন, প্রথমত কিছুদিনের জন্য সুরক্ষা তো পাওয়াই যাবে। দ্বিতীয়ত অ্যান্টিবডি দূরীভূত হলেও ‘মেমোরি সেল’ থেকে যায়। তারাও সুরক্ষা দেয়। তবে এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণার দরকার আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৩:৩৩ ৫৫৫ বার পঠিত # #এস এম সামসুজ্জামান #কভিড১৯ #করোনা ভাইরাস #টিকা #ঢাকা মেডিকেল #বিশ্বস্বাস্থ্য