বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
কয়েকটা ধনীদেশের বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের দিন শেষ !! বলছে চীন
Home Page » এক্সক্লুসিভ » কয়েকটা ধনীদেশের বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের দিন শেষ !! বলছে চীনবঙ্গনিউজঃঅল্প কিছু দেশ বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করবে, সেই যুগ শেষ - বলছে চীন।
কিছু দেশের একটি “ছোট” গোষ্ঠী সারা পৃথিবীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে, সেই যুগ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে - G-7 গোষ্ঠীর নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে চীন।ইংল্যান্ডে চলমান এক শীর্ষ সম্মেলনে যখন জি-সেভেন গোষ্ঠীর নেতারা চীনের মোকাবিলা করতে একটি অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন - তখনই এই মন্তব্য করলেন লন্ডনে চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র।চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলা করতে জি -সেভেন গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের এক পরিকল্পনার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, চীনের পুনরুত্থান ঠেকাতে হলে পশ্চিমা শক্তিগুলোকে এখনই সক্রিয় হতে হবে।
চীন-মার্কিন সামরিক দ্বন্দ্ব:
ন্যটোর নতুন অবস্থান নিয়ে ক্ষিপ্ত বেইজিং, বিপাকে ইউরোপ।চীনের সামরিক সক্ষমতা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ন্যাটো।যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের সঙ্গে চীনের এক তীব্র সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে, ব্রাসেলসে এই সামরিক জোটের শীর্ষ সম্মেলন থেকে দেয়া এক বিবৃতির পর।এদিকে, চীনকে বড় সামরিক হুমকি হিসেবে বিবেচনার পাশাপাশি দেশটির আচরণকে ন্যাটো জোটের জন্য এক “ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জ” বলে বর্ণনা করা হয়।ন্যাটো জোটের এই বিবৃতি চীনকে সাংঘাতিক ক্ষিপ্ত করেছে।চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র বলে পরিচিত, গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায়, এ নিয়ে যে দীর্ঘ সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়, তাতে ন্যাটোর এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করা হয়।চীন বলছে, তাদের শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যে অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে।ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, আজ পর্যন্ত এই সামরিক জোটের ইতিহাসে, চীনের বিরুদ্ধে এতটা কঠোর এবং বিরোধপূর্ণ অবস্থান গ্রহণের নজির নেই।নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে। এর লক্ষ্য ছিল মূলত সেসময়ের অপর পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবেলা করা। এরপর, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ন্যাটোর সব সামরিক কৌশলের কেন্দ্রে ছিল- সোভিয়েত ইউনিয়ন, যাতে করে ইউরোপে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়া যায়।ন্যাটোর সামরিক কৌশলে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়াকে এখনো মুখ্য হুমকি বলেই দেখা হয়। কিন্তু, এই প্রথম সেখানে চীনকে বিরাট বড় এক হুমকি হিসেবে সামনে আনা হয়েছে, যদিও ইউরোপের কাছাকাছি কোথাও চীনের কোন রকম সামরিক উপস্থিতি এখনো নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৫:২২ ৬১৬ বার পঠিত # #G-7 #ইংল্যান্ড #চীন #জো বাইডেন #ন্যাটো #বিশ্বজোট #বিশ্বযুদ্ধ